শিল্পীরা সুরের আত্মা, তাদের বাস কমল ছায়ায় : অনামিকা রিটা

- আপডেট সময় : ১২:১২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
শিল্পীরা সমাজের হৃদস্পন্দন, সুরের আত্মা। তারা নরম কমল ছায়ায় বসবাস করেন—যেখানে সুর, তাল ও লয়ের সাধনায় গড়ে ওঠে জীবনের মধুরতম রূপ।
তাঁদের সৃষ্টিতে মানুষ খুঁজে পায় আনন্দ, প্রশান্তি আর জীবনের আসল সৌন্দর্য
আমিনুল হক, ঢাকা
অনামিকা রিটা একাধারে একজন শিল্পী ও সমাজ সেবক। বহুমুখী প্রতিভার এই নারী সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে ভাবেন, তাদের উন্নয়নে কিছু করার চেষ্টা করেন। সহজ-সরল বন্ধু বাৎসল রিটার মুখে সবসময় লেগে থাকে স্মিত হাসি। সাংগঠনিক চেতনা থেকেই সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছেন নিজেকে।
প্রত্যুষে এই কোমলমতি মানুষটি এক সামাজিক পোস্টে বলেন, শিল্পীরা নরম কমল ছায়ায় থাকা খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের জীবন জড়িয়ে আছে সুর, তাল আর লয়ের অনন্ত সাধনায়। তারা কেবল গানে নয়, সমাজের হৃদয়ে সুরের স্পন্দন জাগিয়ে তোলেন। একজন শিল্পী কোনো দলের নয়, কোনো মতের নয়—তিনি জাতির, তিনি মানবতার। দল বদল হয়, ক্ষমতার পালা বদল হয়, কিন্তু শিল্পী বদলান না; কারণ তাঁর সত্তা সুরের, তাঁর ধর্ম শিল্প।

গানের মানুষরা নিজেদের সুখ-দুঃখ ভুলে অন্যের মুখে হাসি ফোটান, মন ভরিয়ে দেন আনন্দে। তাই শিল্পীর সম্মান ও সন্মানীর প্রতি আমাদের গভীর দৃষ্টি থাকা উচিত। যিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুরের জাদুতে হাজার মানুষের মন ছুঁয়ে যান, তাঁর পরিশ্রমের মূল্য যেন যথাযথভাবে দেওয়া হয়—এটাই সভ্য সমাজের পরিচয়।
গান ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে; সুরের টানেই মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আসে, মন খুঁজে পায় প্রশান্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যাদের কারণে এই আনন্দের উৎসব, সেই শিল্পীরাই অনেক সময় উপেক্ষিত। শিল্পী ঘরে ঘরে জন্মায় না—তাঁদের তৈরি হতে হয় বছরের পর বছর সাধনা, ধৈর্য আর ত্যাগের ভেতর দিয়ে।
সৃষ্টি কর্তা যাঁর অন্তরে সুর, তাল ও লয়ের আশীর্বাদ দেন, তিনিই সত্যিকার সুরসম্রাজ্ঞী বা সুরসম্রাট। শিল্পী সমাজের আলোকবর্তিকা, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাই আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তি।