শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান
- আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১ ২৮৩ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগৃহিত
শহীদ মিনারের মূল বেদির পেছনে থাকবে গাছের বেস্টনী আর দুই পাশে দুটো সবুজ চত্বর, নান্দনিকতার মোড়কে সাজবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রণয়ন করা মাস্টারপ্ল্যান দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাস্টারপ্ল্যানের প্রাথমিক খসড়া বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, তিন ধাপে ৯৭টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন থাকবে ১৭টি, ছাত্রী হল ৮টি, ছাত্রদের ১৬টি, হাউজ টিউটর ভবন ২২টি, শিক্ষক ও অফিসারদের জন্য ১২টি, স্টাফদের জন্য ৯টি ভবন। অন্য ক্যাটগরিতে থাকছে ১৩টি ভবন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করেন। এ ব্যাপারে উপাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে গ্রহণ করা মাস্টারপ্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি দেখে
সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিছু জায়গায় পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি ঠিক রেখে পুরো এলাকাকে নতুন করে সাজানো হবে। মূল বেদির পেছনে থাকবে গাছের বেস্টনী আর দুই পাশে দুটি সবুজ চত্বর। সামনের দিকে থাকবে চারটি চত্বর। এর পরে ঢাকা মেডিক্যালের দিক থেকে যে রাস্তাটা শিববাড়ির দিকে গিয়েছে, তাতে
পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে শহীদ মিনার থেকে পলাশীর দিকে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ থাকবে। এ দুই রাস্তা প্রাইভেট সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কোন ধরনের যান চলাচল থাকবে না।
জগন্নাথ হল আর শিববাড়ির রাস্তার মাঝখানে থাকা শিক্ষকদের আবাসিক ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে সবুজের মিশেলে থাকবে দৃষ্টিনন্দন চত্বর। যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিশিষ্টজনদের
মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবেদন ও গল্প বা আড্ডার জন্য নির্ধারিত থাকবে। এর বিপরীতে থাকা বঙ্গবন্ধু। টাওয়ারের পাশে পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন লেকে পরিণত করা হবে, যার মধ্যে থাকবে ঝর্না।
ঢাকা মেডিক্যালের দিকে যেতে যে রাস্তা যেটিও বন্ধ থাকবে। বিশেষ অনুষ্ঠানের দিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রবেশের জন্য খোলার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া আইন অনুষদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন ভবনের দেওয়ালে থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন।
ছাত্রীদের জন্য আলাদা খেলার মাঠ, যানজট নিরসনে পাবলিক প্রাইভেট সড়ক, টানেল, লাইব্রেরি, সাইকেল লেন, সবুজের পরিমাণ বাড়ানোসহ নানা ধরনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাস্টারপ্ল্যানে।




















