মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ২২ বিশেষায়িত হাসপাতাল
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। ৭১ সালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রণাঙ্গণে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় দেশের ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন সরকারি ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতে পাঁচ বছরের পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন করা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান
(নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল,
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সিলেট, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-বরিশাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন-ঢাকা এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-ঢাকা।
বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সমঝোতা স্মারকে সই করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের সংবাদ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, এর আগে ২০১৮ সালে তিন বছরের জন্য দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। এসব হাসপাতাল থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে চিকিৎসা পরামর্শ, বিভিন্ন টেস্ট, ওষুধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক ২০১৫ সালের নীতিমালায় সংশোধনী এনে ২০২১ সালে ‘সরকারি হাট-বাজারের ইজারালব্ধ আয়ের চার শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা’ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মন্ত্রক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ, মেডিক্যাল কলেজ ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে।























