বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চিঠি দেবেন আইনমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ ২৯৪ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে চার বছর আগে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায়ে আদালত পাঁচ জনের সকলকে খালাস দিয়েছেন। আলোচিত মামলার রায় প্রদানকারী বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়ার কথা জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা
নেওয়া যাবে না, এমন পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এমনি পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রবিবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন তিনি। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেছে, ঘটনার ৩৮ দিন পর মামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মেডিকেল রিপোর্টে প্রমাণ আসেনি। কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণ না পেয়েও
খালাসপ্রাপ্ত পাঁচজন
তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট দিয়ে আদালতের সময় নষ্ট করেছে। ২০১৭ সালে ২৮শে মার্চে জন্মদিনের পার্টিতে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে আমন্ত্রণ করে সেখানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগ আনা হয়েছিল মামলায়। গত ১১ নভেম্বর ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। আলোচিত এই
মামলার ৫ আসামীর সকলকে খালাস দেওয়া হয়। এর পর বিচারক তার পর্যবেক্ষণে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা না নিতে সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না। তবে
বিচারকের অবজারভেশন সম্পর্কিত উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এই কারণে রবিবার প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য একটা চিঠি লিখবেন।




















