বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠাতা করা হবে বিশ্বমাণের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট: শেখ হাসিনা
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
‘আগামী বছরের জুনের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়’
বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা কথার জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারি করোনা আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিন নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
চলতি সংসদে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদের রীতি অনুযায়ী শোকপ্রস্তাব গ্রহণের পর সংসদ অধিবেশন মুলতবি করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং টিকা নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা তাঁর সরকারের রয়েছে। ভ্যাকসিন ইনস্টিটিটিউট এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণীত হলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেই তথ্যও সংসদে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে বুধবার সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজ ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী জুনের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।




















