ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে : সেনা সদর দপ্তর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ কেন? জানালো কমিটি সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া: চলে গেলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রজননকালীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পদ্মা পারে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রির হাট! খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৮ গ্রাম প্লাবিত সংকট, ক্ষতির শতকোটি টাকা ফিলিপাইনে ভূমিকম্প ও বিপর্যয়ের  এক বছরের চিত্র অন্তর্বর্তী সরকার কেন যুদ্ধবিমান কিনছে, চীনের ২০টি জে-১০ সিই ক্রয়ে বিতর্ক ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ঐতিহাসিক দলিলে নেতৃত্ব দেবেন ড. ইউনূস

ইসরায়েল-হামাস শান্তিচুক্তি নিয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েল-হামাস শান্তিচুক্তি নিয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (পূর্বে টুইটার)– পোস্ট করে তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন। বন্দিদের মুক্তি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি সবার জন্য স্বস্তি আনবে এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।

মোদি আরও বলেন, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকে সফল উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি পাল্টা অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৭ হাজার ১৯৪ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী শিশু। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি ইসরায়েল হামাস ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের হাতে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। গাজায় হামাসের ভবিষ্যৎ ভূমিকা থাকবে না, তবে ইসরায়েল গাজা দখল করবে নাবরং সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, ট্রাম্প শিগগিরই ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন। আন্তর্জাতিক মহল এই চুক্তিকে স্বাগত জানালেও অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে শান্তির পথে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইসরায়েল-হামাস শান্তিচুক্তি নিয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েল হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (পূর্বে টুইটার)– পোস্ট করে তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন। বন্দিদের মুক্তি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি সবার জন্য স্বস্তি আনবে এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।

মোদি আরও বলেন, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকে সফল উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি পাল্টা অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৭ হাজার ১৯৪ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী শিশু। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি ইসরায়েল হামাস ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের হাতে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। গাজায় হামাসের ভবিষ্যৎ ভূমিকা থাকবে না, তবে ইসরায়েল গাজা দখল করবে নাবরং সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, ট্রাম্প শিগগিরই ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন। আন্তর্জাতিক মহল এই চুক্তিকে স্বাগত জানালেও অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে শান্তির পথে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।