চেতনাময়ী শিল্পীর নাম ‘রাধিকা’

- আপডেট সময় : ০২:২২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
মানববন্দনাই যে তার কাজ। ঈশ্বরতো এখানেই মজুত ‘দে দে পাল তুলে’ যে শিল্পী তার দরদি কন্ঠে গেয়ে মানুষের মন জয় করেন সেখানে। এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কি হতে পারে? একজন শিল্পী তার শৈল্পিক চেতনা দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলেন। তার পথ আগলে রাখলে যে সাধনা বাধাগ্রস্ত হয়। সাধনার মধ্য দিয়েই পূর্ণ আসে। বাউলরাজ আবদুল করিমের কথায় ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’—। ভাবজগতেরই কথা। রাধিকা অর্থাৎ রাধিকা মাইতি এমনই একজন শিল্পী।
শিল্পরা ভাবজগতের বাসিন্দা। কোথায় রাম-রহিম তা ভাবেন না। সুর-তাল-লয়ে মানুষের আত্মার খোরাক মিটান। সুরমঞ্চে দাঁড়িয়ে অগুতি ভক্তশ্রোতার স্রোতস্বিনীতে নিজেকে উজার করে দেন। ভাবনায় আসে না তখন, তার পরের ঠিকানা কোথায়। মানুষের মাঝে নিজের সুরেলা কন্ঠের মোহজালে বন্দী হয়ে শ্রোতার করতালিকে সম্বল করে, একের পর এক গান করে যান সহযোদ্ধাদের নিয়ে। এরই নাম শিল্পী।

মানববন্দনাই যে তার কাজ। ঈশ্বরতো এখানেই মজুত ‘দে দে পাল তুলে’ যে শিল্পী তার দরদি কন্ঠে গেয়ে মানুষের মন জয় করেন সেখানে। এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কি হতে পারে? একজন শিল্পী তার শৈল্পিক চেতনা দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলেন। তার পথ আগলে রাখলে যে সাধনা বাধাগ্রস্ত হয়। সাধনার মধ্য দিয়েই পূর্ণতা আসে। বাউলরাজ আবদুল করিমের কথায় ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’—। ভাবজগতেরই কথা।
রাধিকা অর্থাৎ রাধিকা মাইতি এমনই একজন শিল্পী। যে কিনা সাধনার পথ বেয়ে বহু দূর যেতে চান। ‘দে দে পাল তুলে দে’ গানটি শুনেই শিল্পীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রপাত। তারপর এক দুটো কথা বিনিময়। ছবি আবেদনে সারা দিয়ে ‘বেশ ক’টি ছবি’ পাঠানোর মধ্য দিয়ে সম্পর্কটা মজবুত বন্ধনিতে রূপ নেবার পর দায়িত্ব বাড়ে। এমনিভাবেই সবার ওপরে মানুষ সত্য’র সেতুবন্ধনটা দীর্ঘায়িত হয়। শুরু হয় পরবর্তী কর্মের পরিকল্পনা।
শিল্পীর গান শুনে মনে হয়েছে, ‘শৈশবে বাড়ির কাছের আখড়ায় বাউল- বৈরাগীর একতারার সুর শুনলে ছুটে যেতো মন্ত্রমুগ্ধের মতো’। অপলক দাড়িয়ে থেকে গানের মধ্যে ডুবে যেতো শিল্পী। বৈরাগীর মুঠোভর্তি ফুল নিয়ে কাধে হাত রাখতেই সম্বিত ফিরে পাওয়া। কি গো মা-ধন? সুরের মোহে যে একবারে হারিয়ে গেলে, এই ধরো ধরো এটা আর্শিবাদের ফুল। বৈরাগীর মুঠোভর্তি ফুল দু’হাত ভরে যেত। কচি মনের সেকি উতালা। এ সবই সুরের মোহ। এ পথে চলার যে শেষ নেই। একের পর নতুন নতুন সুর সৃষ্টি এবং গাওয়ার এক অলৌকিক আকর্ষণ থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়?
লোকজ সাংস্কৃতির এক অথৈ ভান্ডার বাংলা। যুগে যুগে হাজারো ভাবগতের মানুষের আগমণে পূর্ণতা পেয়েছে বাংলার অমূল্য সম্পদ ‘লোকসঙ্গীত’ অর্থাৎ ফোক। মূলত সঙ্গীতের পোক্ত ভীতও এটিই। লালন শাহ্, বিজয় সরকার, হাসন রাজা, বাউল আবদুল করিম, দুদ্দু শাহ, শীতালং শাহ্, দূরবিন শাহ্, ভবা পাগলার মতো সাধকদের অজীবন সাধনার ফসল বাংলার সমৃদ্ধ লোজসঙ্গীত।
আমাদের আজকের শিল্পী রাধিকা লোক সঙ্গীতকে ভালোবেসেই দলের নাম দিয়েছেন ‘দোতারা’। ‘তুমি জানানো রে প্রিয়, তুমি মোর জীবনের সাধনা’। শচিন কর্তার ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া, আমার ভাই ধনরে গইও নাইওর নিতো আইয়া’, এমনি হাজারো কালজয়ী গানে পূর্ণতা পেয়েছে বাংলার লোকসঙ্গীতের ক্যানভাস।
শিল্পী রাধিকা গানের পাশাপাশি বাংলার লোকসঙ্গীতকে নিয়েও পড়াশোনা করছেন। তিনি চান, তার ভিত্তিটা যখন ফোক, তখন এর বিষয়ে জানা এবং সঠিক সুরে গান করাটাই হলো মূল কথা। রাতারাতি নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ার আশা না করে, নিজের সমৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের শিল্পী হয়ে ওঠার মধ্যেই স্বার্থকতা লুকিয়ে আছে। এই বোধ থেকেই আগামীর দিনগুলোকে সাজানোর ভাবনায় মজেছেন রাধিকা। শিল্পী মনে করেন, ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু, পা বাড়ালেই পথ’।