ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৬২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে নেওয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

অবশ্য পুলিশ বলছে, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগের চেয়ে এবার নিরাপত্তা আরও বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের আয়োজনে চলছে শেষ মূহূর্তের ছোঁয়া। শহীদ মিনারের পাশের দেয়াল রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে স্মৃতির রঙে। ঝেড়ে মুছে সাফ করা হচ্ছে ধুলো জমা শহীদবেদী। এরপর আলপনার রঙে রঙিন হবে এই বেদীও।

ঠিক যেমন ৫২-তে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। ১৯৫২ সালের এ দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে এসেছিল বাংলা মায়ের বিক্ষুব্ধ সন্তানেরা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মুখর ছাত্রদের রুখে দিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ।

বরকত সালাম রফিক শফিক জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেক শহীদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিলো দুঃখিনী বর্ণমালা। সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস। বছর ঘুরে আবারও এসেছে ভাই হারানোর ব্যথা আর মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরবে অত্যুজ্জ্বল সেই দিন।

বুধবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে ভাষার প্রতি নিজেদের ভালবাসার কথা জানাবে। খালি পায়ে অংশ নেবে প্রভাতফেরিতে। শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

অমর একুশের এই আয়োজনে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এরপর সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সিক্ত হবে এই প্রাঙ্গণ। বরাবরের মতো মূল আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

সোমবার সেদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল যথাসময়েই প্রস্তুত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ১১:২০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে নেওয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

অবশ্য পুলিশ বলছে, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগের চেয়ে এবার নিরাপত্তা আরও বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের আয়োজনে চলছে শেষ মূহূর্তের ছোঁয়া। শহীদ মিনারের পাশের দেয়াল রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে স্মৃতির রঙে। ঝেড়ে মুছে সাফ করা হচ্ছে ধুলো জমা শহীদবেদী। এরপর আলপনার রঙে রঙিন হবে এই বেদীও।

ঠিক যেমন ৫২-তে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। ১৯৫২ সালের এ দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে এসেছিল বাংলা মায়ের বিক্ষুব্ধ সন্তানেরা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মুখর ছাত্রদের রুখে দিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ।

বরকত সালাম রফিক শফিক জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেক শহীদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিলো দুঃখিনী বর্ণমালা। সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস। বছর ঘুরে আবারও এসেছে ভাই হারানোর ব্যথা আর মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরবে অত্যুজ্জ্বল সেই দিন।

বুধবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে ভাষার প্রতি নিজেদের ভালবাসার কথা জানাবে। খালি পায়ে অংশ নেবে প্রভাতফেরিতে। শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

অমর একুশের এই আয়োজনে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এরপর সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সিক্ত হবে এই প্রাঙ্গণ। বরাবরের মতো মূল আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

সোমবার সেদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল যথাসময়েই প্রস্তুত হবে।