ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচনের আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছানোর লক্ষ্য সরকারের ফের বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের তালিকায় ইউনূস লাল শাপলা নয়, শাপলা কলিতেই সন্তুষ্ট এনসিপি চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ড ভাবা উচিৎ নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার রিভিউ শুনানিতে নেপালের প্রধান বিচারপতি উপস্থিতি বাংলাদেশের শত্রুরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে : মির্জা ফখরুল সংস্কার ভেস্তে দিচ্ছে বিএনপি, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টায় জামায়াত: এনসিপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে কি না, মানুষের নজর এখন আপিল বিভাগে ক্ষ্যাপা যমুনার গ্রাস থেকে রক্ষায় শাহজাদপুরের ৯ গ্রামের মানুষ

আজ থেকেই বন্ধ হচ্ছে একনামে ১০টির বেশি সিম, বিটিআরসির অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

আজ থেকেই বন্ধ হচ্ছে একনামে ১০টির বেশি সিম-বিটিআরসি

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 প্রতারণা রোধে নতুন নজরদারি ব্যবস্থা চালু

একজনের নামে ১০টির বেশি সক্রিয় মোবাইল সিম আজ (১ নভেম্বর) থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই রাখা যাবে। অতিরিক্ত সিমগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

বর্তমানে দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, অথচ প্রকৃত গ্রাহক মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, প্রায় ১৬ শতাংশের নামে ৬ থেকে ১০টি, আর মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে ১১টির বেশি সিম।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী জানান, “সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা এবং বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে যেন কোনো এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম না থাকে।

গ্রাহকরা এখন অনলাইনে বা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। অতিরিক্ত সিম বন্ধের ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়ন’ (র‍্যান্ডম সিলেকশন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে—অর্থাৎ, কোন সিমটি বন্ধ হবে তা নির্ধারণ করবে কম্পিউটার অ্যালগরিদম, এতে কোনো মানবিক প্রভাবের সুযোগ থাকবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকার পর্যায়ক্রমে একজনের নামে সিমের সংখ্যা ১০ থেকে ২–এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

এদিকে, বিটিআরসি সিম ও মোবাইল ডিভাইস একত্রে ট্র্যাকিংয়ের উদ্যোগও নিচ্ছে, যাতে অবৈধ ও নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহারের পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায়।

👉 এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরবে এবং প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও সাইবার অপরাধ রোধে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলে আশা করছে বিটিআরসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আজ থেকেই বন্ধ হচ্ছে একনামে ১০টির বেশি সিম, বিটিআরসির অভিযান

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
 প্রতারণা রোধে নতুন নজরদারি ব্যবস্থা চালু

একজনের নামে ১০টির বেশি সক্রিয় মোবাইল সিম আজ (১ নভেম্বর) থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই রাখা যাবে। অতিরিক্ত সিমগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

বর্তমানে দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, অথচ প্রকৃত গ্রাহক মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, প্রায় ১৬ শতাংশের নামে ৬ থেকে ১০টি, আর মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে ১১টির বেশি সিম।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী জানান, “সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা এবং বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে যেন কোনো এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম না থাকে।

গ্রাহকরা এখন অনলাইনে বা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। অতিরিক্ত সিম বন্ধের ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়ন’ (র‍্যান্ডম সিলেকশন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে—অর্থাৎ, কোন সিমটি বন্ধ হবে তা নির্ধারণ করবে কম্পিউটার অ্যালগরিদম, এতে কোনো মানবিক প্রভাবের সুযোগ থাকবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকার পর্যায়ক্রমে একজনের নামে সিমের সংখ্যা ১০ থেকে ২–এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

এদিকে, বিটিআরসি সিম ও মোবাইল ডিভাইস একত্রে ট্র্যাকিংয়ের উদ্যোগও নিচ্ছে, যাতে অবৈধ ও নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহারের পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায়।

👉 এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরবে এবং প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও সাইবার অপরাধ রোধে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলে আশা করছে বিটিআরসি।