সাত মাস পর করোনায় মৃত্যু নামলো সাতে
- আপডেট সময় : ১০:২০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১ ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
দূর্গম পাহাড়ে টিকা কার্যক্রম ছবি সংগ্রহ
‘করোনা শনাক্তের ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ’
বাংলাদেশে করোনায় প্রথম মৃত্যু গণনা শুরু হয়েছিলো ২০২০ সালের ১৮ মার্চ। তারপর আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটনা দেখেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে ২৫০ জনের মৃত্যু দেখা গিয়েছে।
ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ। তবে টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা সংগ্রহের যা যা করা দরকার তা করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিন স্বাস্থ্য সচেতন বার্তা নিয়ে এসেছেন
টেলিভিশনের পর্দায়। তারপর ফেব্রুয়ারিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে দেশের ৮০শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
যৌনকর্মীদের মাঝে টিকাকার্যক্রম
বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ডোজ মিলিয়ে টিকার আওতায় আসা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় তিনকোটির ওপরে। টিকাকরণে আওতায় এসেছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দা।
এবারে সাত মাস পর একদিনে সাত জন মারা গিয়েছেন। এর আগে গত ১১ মার্চ ৬জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে হিসাবে সাত মাস পর করোনায় একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৫৪ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত
হয়েছেন ৬৪৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্তর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৩ জন। শুক্রবার এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

পাহাড়েরর জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে
এদিকে একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৮১৪ জন। মোট সুস্থতার ১৫ লাখ ২২ হাজার ৫৯১ জন। এই সময়ে করোনা শনাক্তের ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিন ২৩ হাজার ৩০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাত জনের মধ্যে পুরুষ ৩ জন আর নারী ৪ জন।
দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৭৩৩ জন আর নারী ৯ হাজার ৯২১ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা আর চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন ৩ জন করে আর রংপুর

গণটিকা কার্যক্রম
বিভাগের একজন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ছয় জন আর বেসরকারি হাসপাতালে একজন। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের মধ্যে জুলাই মাসে দৈনিক
মৃত্যু দুইশ’র ঘর ছাড়িয়ে যায়। গত আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি ঘটছে।























