Proposal for fourth train on Dhaka-Kolkata route : ঢাকা-কলকাতা রুটে আরও একটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব ভারতের
- আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে রেলভবনে সাক্ষাত করেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী : ছবি রেলমন্ত্রক
আমিনুল হক, ঢাকা
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতা এবং কলকাতা হয়ে অন্যান্য রাজ্যে ভ্রমণকারী বাংলাদেশের যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। বর্তমানে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এই তিনটি ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রী চাপ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় ঢাকা থেকে দর্শনা হয়ে কলকাতায় আরও একটি যাত্রী ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
সোমবার রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাত করে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
সাক্ষাতকালে রেলওয়েতে ভারতীয় অর্থায়নে যে সব প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং যে সব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময়ে ভারতের তরফে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভারতের হাইকমিশনার জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে আরো একটি ট্রেন চালানো যেতে পারে।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে রেলভবনে সাক্ষাত করেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী : ছবি রেলমন্ত্রক
এসময় সম্প্রতি ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, তিনি ভারত সফরের সময় আধুনিক কোচ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার-ঢাকা সরাসরি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এজন্য উন্নত মানের টুরিস্ট কোচ ভারত থেকে আমদানি করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় এসব কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এগুলো ক্রয়ের বিষয়ে ভারতের তরফে দ্রুত করার তাগিদ দেওয়া হয়। রেলমন্ত্রী নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন। সে ক্ষেত্রে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটকে আরো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মংলা-খুলনা নতুন রেললাইন
এছাড়া পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা নতুন রেললাইন নির্মাণ, বাংলাবান্ধা থেকে ভারতীয় অংশ যেখানে সংযোগ স্থাপিত তা দ্রুত নির্ধারণের তাগিদ দেওয়া হয়। ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন। রেলমন্ত্রী বগুড়া পর্যন্ত লাইনকে সান্তাহার পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বর্তমানে বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন রয়েছে। সেখানে ডুয়েল গেজ লাইন করা সম্ভব না হলে ব্রডগেজের উপকার ভোগ করা যাবে না। পাশাপাশি ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মংলা রেললাইন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণে যে সমস্যা সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

রেূপসা রেলসেতুর কাজ সম্পন্ন
বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকায়ন, সিরাজগঞ্জে আইসিডি নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক মানের কোচ তৈরির কারখানা, বাংলাদেশের সহকারী লোকোমোটিভদের ভারতে ট্রেনিং প্রদানের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এ সাক্ষাৎকারে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।





















