Police Super Nabila Jafrin : মেয়ে হিসেবে নয়, সন্তান হিসেবেই গড়ে তোলেন বাবা-মা : নাভিলা জাফরিন রীনা
- আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২ ১০৪৬ বার পড়া হয়েছে
`নাভিলা জাফরিন রীনা একজন পুলিশ সুপার। তিনি ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ট্রেনিং এন্ড মিডিয়া) হিসেবে কর্মরত। ২০১৬ সাল থেকে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বাবা ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ বজলুর রশীদ ভুঁইয়া। মা সামসুন্নাহার। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সন্তান তিনি। বাবার আদর্শকে ধারণ করে তার পথ চলা। পুলিশে চাকরী নিয়ে পরিবারের তরফে কোন বাধা ছিলো না। বরং এক্ষেত্রে বাবার উৎসাহটাই ছিলো বেশি। কারণ বাবা কোন তিনি তাকে মেয়ে হিসেবে নয়, সন্তান হিসেবেই দেখেছেন। আজ বাবার সেই আদর্শই নিজের মজবুত খুঁটি’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতি তার কিছুটা দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। অনেকেই সমাজের অনগ্রসর লোকদের কল্যাণে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকেন। তবে, এর জন্য প্রয়োজন সুস্থ মানুষিকতা। আত্মার তাগিদ ছাড়া অঢেল সম্পদ থাকলেও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সেবার সুযোগ ঘটে না। এমন ব্যক্তির সংখ্যা সমাজে খুব কম। আবার ব্যতিক্রমও রয়েছে। অর্থ না থাকলেও মানুষকে ভালোবাসা সম্ভব। এমন মহৎ ব্যক্তির সংখ্যাও সমাজে কম নয়। নিজের যোগ্যতা, অর্থ-সামর্থ্য ও বিচার-বুদ্ধি দিয়ে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসতে হবে এটা সামাজিক দায়িত্বেরই একটা অংশ। সেবামূলক কাজ করছেন, তাদের অনেকেই বিত্তশালী না হলেও অনেকে সমাজের দশজনকে ঐক্যবদ্ধ করে সেবামূল কাজ করে যাচ্ছেন।
নারী দিবসে আজকের আলোচিত ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যিনি মানুষকে ভালোবাসেন। সমাজের উচু-নিচু বলে তার খাতায় নেই। মানুষের সেবাদানই তার লক্ষ্য। হাজারো প্রতিকূলতার মুখোমুখি হলেও লড়াই করে তা উৎড়ে গিয়েছেন। এমন এক জীবন সংগ্রামী ও আলোকিত নারীর নাম নাভিলা জাফরিন রীনা। প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে সাহসিনী এক হার না মানা নারী। যিনি নিজেকে কখনও অবলা ভাবেননি। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাকে সঙ্গী করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই বহুমাত্রিক অভিধাটি তাকেই মানায়। এ কারণেই আজকের একজন আলোকিত নারী তিনি। নিজেকে শুধু আপন বলয়ে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে তিনি সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি আমাদের সমাজের শুভবোধের সারথী।
নিজ কার্যালয়ে
নাভিলা জাফরিন রীনা একজন পুলিশ সুপার। তিনি ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ট্রেনিং এন্ড মিডিয়া) হিসেবে কর্মরত। ২০১৬ সাল থেকে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বাবা ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ বজলুর রশীদ ভুঁইয়া। মা সামসুন্নাহার। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সন্তান। বাবার আদর্শকে ধারণ করে তার পথ চলা। পুলিশে চাকরী নিয়ে পরিবারের তরফে কোন বাধা ছিলো না। বরং এক্ষেত্রে বাবার উৎসাহটাই ছিলো বেশি। কারণ বাবা কোন তিনি মেয়ে হিসেবে নয়, সন্তান হিসেবেই দেখেছেন। বাবার আদর্শই নিজের মজবুত খুঁটি।
নাভিলা জাফরিনকে গোটা পরিবারই সহায়তা করে থাকে। তার ছোট তিন ভাই প্রতিষ্ঠিত। এখনও বলতে গেলে একান্নভুক্তি পরিবারের মতোই বসবাস। একে অপরের সহযোহিতায় হাত বাড়ায়। তার নিজেরও এক মেয়ে দুই ছেলে রয়েছে। তারাও মাকে সাহায্য করে থাকে। ফলে চাকুরির ক্ষেত্রে তাকে কখনোই বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। স্বামী-সন্তানরাও একইভাবে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেককের কাছেই তিনি জানসতে চান, কখনো কোন জায়গায় গিয়ে টাকা পয়সা ছাড়া কারো সাহায্য পেয়েছেন? ডাক্তার দেখাবেন ভিজিট লাগবে, উকিলের কাছে যাবেন টাকা গুণতে হবে। আর পুলিশের কাছে এসে মানুষ সেবা পাবেন। এই মানুষিকতা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়।

কন্যা সন্তানের সঙ্গে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেয়ে নাবিলা জাফরিন রীনা। ২১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৩ সালের জুন মাসে এএসপি হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশে। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন সিআইডিতে। কর্মক্ষেত্রে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাজে কাজ শিখেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন। আর হাবিবুর রহমান স্যারের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। হেল্পফুল একজন মানুষ, যিনি ঠাণ্ডা মাথায় এতো কিছু সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। যা দেখে আমাদের অবাক হতে হয়। তবে এ থেকে আমি শিখছি।


























