Ghosh Bari Pujo : সালকিয়ার ‘ঘোষ বাড়ির বনেদী পূজো’
- আপডেট সময় : ০৩:০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২ ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
ছবি ঘোষবাড়ির সৌজন্যে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সদর ফটকের কিছুটা পথ আগে থেকেই বোঝা যায় সামনের বাড়িটি প্রাচীন এবং একে ঘিরে মানবকল্যাণের অনেক গল্পগাথা রয়েছে। এই বাড়ির বর্তমান কর্তার বয়স শতকের ঘর ছুঁই ছুঁই। এলাকাবাসীর জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দু’হাত ভরে বিলানোতেই সুখ খুঁজে পান। উচ্চশিক্ষিত সন্তানরাও বাবার দেখানো পথেই হাটছেন। গর্বিত পিতা নীলমণি ঘোষ নির্মল হেসে তৃপ্তি অনুভব করেন। বাড়িটিতে এবারেও যথানিয়মে দুর্গোৎসবের আয়োজনটা জাকজমকপূর্ণ।
সদর রাস্তা থেকেই ঢাকের আওয়াজ ভেসে আসে। পূজো উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মাঝে নানা পণ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে ঐতিহ্যকে ধারণ করেই হাটছে ঘোষবাড়ির সম্প্রীতির পূজো।
ঘোষ বাড়ির পাশের রাস্তাটি সরু। যানবাহন, মানুষ এমনকি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও যাতায়ত করতে পারেনা। এ অবস্থায় বসে থাকতে পারেননি নীলমণি বাবু। বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্ত করার জায়গা দেন। কোন বাহবা কুড়াতে নয়, মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি করেছেন। মানুষের প্রশান্তি দেখেছেন। তাতেই তৃপ্তি নীলমণি বাবুর। বাড়িটি ঘিরে রয়েছে সাংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সম্প্রীতির গল্প।

এবারের শারদ উৎসবে বাড়ির সবাই ব্যস্ত। পূজোর পাশাপাশি অতিথি দেখভাল ও আপ্যায়ন ছাড়াও কত কাজ। সময়কে তো বেধে রাখা যায় না। ব্যস্ততা যেন পিছু ছাড়ছে না। আর হবেই বা কেন বলুন? ঘোষবাড়ি বলে কথা। পরিচিত সবাই একবার বাড়ির মণ্ডপে পা রেখে যান। তাতে করে পুরানো স্মৃতিরা পাখনা মেলে। আর বাড়ির শিক্ষাবিদ মেয়ে ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ বাবার যোগ্য উত্তর সূরি। যে কেউ বাড়িতে পা রাখুনা না কেন, তিনিতো বিনা আপ্যায়নে যেতে পারেন না। ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বিরাজ।

এমনিভাবেই চলতে থাকবে বিজয়া দশমি পর্যন্ত। তারপর ফের হাত লাগাবেন লক্ষীপূজোয়। সে নিয়েও নানা ভাবনা তার মাথায়। সব কিছু সামাল দিতে গিয়ে এক্কেবারে হাফিয়ে ওঠলেও তার যে ছুটি নেই। কারণ, বাবাও তো এক সময় বিনে বাধায় সব কিছু সামাল দিতেন। বাবার কর্মের শক্তি ভর করেছে বিরাজলক্ষীর ওপর। বাবার আর্শিবাদ নিয়েই অবলিলায় সকল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি।























