Generation ’71 : জামায়াত সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি

- আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার রয়েছে, এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন না দিতে নির্বাচন কমিশন বরাবরে দাবি জানিয়েছে প্রজন্ম ‘৭১ এর সদস্যরা। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি’সহ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ‘৭১।
সংগঠনের সভাপতি আসিফ মুনীর ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক কিছু সংকট আমাদের নজরে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানতে পেরেছি, আসন্ন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।
একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র আছে। নিবন্ধন হারিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্ট একটি অংশ শুধু বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি নয়, জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসা আরেকটি অংশ ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ নামে নিবন্ধনের আবেদন করে রেখেছে। প্রকাশ্য রাজনীতিতে নামার দুরভিসন্ধি নিয়ে জামায়াত ভিন্ন নামে নিবন্ধন করার এই উদ্যোগ নিয়েছে, বিষয়টি দায়িত্বশীল একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে জেনেছি, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বিডিপি। এমন অভিযোগের কথা বলা হলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতেই পারে। নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য আমাদের চিন্তিত ও শঙ্কিত করছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ‘৭১ মনে করে, নির্বাচন কমিশনকে দেশ মাতৃকার প্রশ্নে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারীদের রাজনৈতিক দর্শন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে, নাকি শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ গড়ে তোলার প্রশ্নটি গুরুত্ব পাবে, অব্যাহত থাকবে।