ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
২৬-এর নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রুখতে গঠিত হচ্ছে সেন্ট্রাল সেল যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি ডেঙ্গুতে অক্টোবরে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, চলতি বছরে প্রাণহানি ২৪৯ ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিলো তেহরান, পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিছক কল্পনা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটসহ ৬ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ জিটুজির নামে সার আমদানির নামে কোটি কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে টাইগ্রেসরা ফ্রি ভিসা প্রতারণায় ক্ষতি ৩০ হাজার কোটি টাকা, অভিবাসন খাতে অনৈতিক নিয়োগ ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: কর্মকর্তাদের আর্চারিতে  চ্যাম্পিয়ন  কিবরিয়া গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আমেরিকা জুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ ঝড়

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের: ভারতের বিদেশসচিব

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২৮০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা সফরত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বলে মন্তব্য করেছেন।  তিস্তা

জল বন্টন, সীমান্ত হত্যা, জলপথকে গতিশীল করা ইত্যাদিসহ  অমিমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে

ফলপ্রসু আলো হয়েছে কথা জানালেন এই ভারতীয় এই কূটনীতিক।  আগামীতে নতুন নতুন

কর্মক্ষেত্র উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দু’দেশ একযোগে কাজ করতে একমত হয়েছেন বলেও জানালেন

শ্রিংলা।  বিদেশমন্ত্রকে  ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের একথা

বলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসে  যোগ দিতে

ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে ভারতীয় বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফর।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ ডিসেম্বর তিন দিনের ঢাকা সফর এবং জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এ দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ

সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন শ্রিংলা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন শ্রিংলা। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০

বছরের সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে আরও সম্পর্কোন্নয়ন বাড়ানো যায় তা

নিয়ে ঢাকা সফররত ভারতের ভারতের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন

বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই প্রতিবেশী দেশের বিদেশ সচিব। কোভিড

পরিস্থিতি যৌথভাবে মোকাবিলার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের মাসুদ বিন মোমেন বলেন,

বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ থাকবে না, যদি ভারত নিরাপদ না থাকে এবং একই কথা ভারতের

জন্যও প্রযোজ্য। ভারতের সঙ্গে বহুমাত্রিক ইস্যু রয়েছে এবং পেন্ডিং ইস্যুগুলো কীভাবে দ্রুত

সমাধান করা যায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছর মার্চ

মাসে ঢাকা সফর করেছেন এবং চলতি মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকা সফরে আসছেন। একই

বছরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কোনও দেশে সফর একটি রেকর্ড উল্লেখ করে বলেন, সোমবার

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস যৌথভাবে পালন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন স্বর্ণযুগ চলছে।

সামনের দিনগুলোতে কানেক্টিভিটি, গ্রিন এনার্জি, টেকনোলজিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কীভাবে

অগ্রসর হতে পারি সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল

মোমেন বলেন, ৬ ডিসেম্বর  মৈত্রী দিবস ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বিশে^র বিভিন্ন দেশে

তা পালন করা হচ্ছে। এদিনে বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ ভারত বাংলাদেশকে মর্যাদা

দিয়েছে।  এর আগে সকার ১০টা নাগাদ তিনি ঢাকায় পৌছান। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ

বিন মোমেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ভারতের বিদেশ সচিব

বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক বিরল মুহূর্ত যেখানে দুই দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর

পালন করছে। ভারতের সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধোরা তাদের রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন

করেছে। তাই দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক। তিনি বলেন, সড়ক, রেলের পাশাপাশি নৌপথে

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এখন ভারতের সবচেয়ে অগ্রাধিকার। বাংলাদেশ দশক ধরে

বিশাল উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রতি বছর প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের এ

অগ্রযাত্রায় শরিক হয়েছে ভারত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের: ভারতের বিদেশসচিব

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা সফরত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বলে মন্তব্য করেছেন।  তিস্তা

জল বন্টন, সীমান্ত হত্যা, জলপথকে গতিশীল করা ইত্যাদিসহ  অমিমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে

ফলপ্রসু আলো হয়েছে কথা জানালেন এই ভারতীয় এই কূটনীতিক।  আগামীতে নতুন নতুন

কর্মক্ষেত্র উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দু’দেশ একযোগে কাজ করতে একমত হয়েছেন বলেও জানালেন

শ্রিংলা।  বিদেশমন্ত্রকে  ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের একথা

বলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসে  যোগ দিতে

ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে ভারতীয় বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফর।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ ডিসেম্বর তিন দিনের ঢাকা সফর এবং জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এ দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ

সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন শ্রিংলা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন শ্রিংলা। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০

বছরের সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে আরও সম্পর্কোন্নয়ন বাড়ানো যায় তা

নিয়ে ঢাকা সফররত ভারতের ভারতের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন

বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই প্রতিবেশী দেশের বিদেশ সচিব। কোভিড

পরিস্থিতি যৌথভাবে মোকাবিলার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের মাসুদ বিন মোমেন বলেন,

বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ থাকবে না, যদি ভারত নিরাপদ না থাকে এবং একই কথা ভারতের

জন্যও প্রযোজ্য। ভারতের সঙ্গে বহুমাত্রিক ইস্যু রয়েছে এবং পেন্ডিং ইস্যুগুলো কীভাবে দ্রুত

সমাধান করা যায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছর মার্চ

মাসে ঢাকা সফর করেছেন এবং চলতি মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকা সফরে আসছেন। একই

বছরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কোনও দেশে সফর একটি রেকর্ড উল্লেখ করে বলেন, সোমবার

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস যৌথভাবে পালন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন স্বর্ণযুগ চলছে।

সামনের দিনগুলোতে কানেক্টিভিটি, গ্রিন এনার্জি, টেকনোলজিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কীভাবে

অগ্রসর হতে পারি সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল

মোমেন বলেন, ৬ ডিসেম্বর  মৈত্রী দিবস ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বিশে^র বিভিন্ন দেশে

তা পালন করা হচ্ছে। এদিনে বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ ভারত বাংলাদেশকে মর্যাদা

দিয়েছে।  এর আগে সকার ১০টা নাগাদ তিনি ঢাকায় পৌছান। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ

বিন মোমেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ভারতের বিদেশ সচিব

বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক বিরল মুহূর্ত যেখানে দুই দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর

পালন করছে। ভারতের সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধোরা তাদের রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন

করেছে। তাই দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক। তিনি বলেন, সড়ক, রেলের পাশাপাশি নৌপথে

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এখন ভারতের সবচেয়ে অগ্রাধিকার। বাংলাদেশ দশক ধরে

বিশাল উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রতি বছর প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের এ

অগ্রযাত্রায় শরিক হয়েছে ভারত।