পাটপণ্যের পুনর্জাগরণে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড, টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্তের আহ্বান

- আপডেট সময় : ১২:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে
আমিনুল হক ভূইয়া, ঢাকা
পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার গঠন করেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)-এর মাধ্যমে ১,০০৬ জন উদ্যোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হেসিয়ান কাপড়, স্যাকিং, কার্পেট ব্যাকিং, ক্যানভাস, ব্যাগ, জুতা, শাড়ি ও পর্দার কাপড়সহ পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেওয়া হবে, যাতে পাট আবারও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান পরিবেশবান্ধব সম্পদ হিসেবে ফিরে আসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার–২০২৫ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাটের ব্যাগকে আবার আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে ফিরিয়ে আনতে চাই। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটপণ্য ব্যবহারে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন—কাউকে বাধ্য করে নয়, সচেতনতার মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাটের মোড়ক বা র্যাপিং উপকরণ হিসেবে বিশ্ববাজারে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজ ও পরিধি বাড়াতে গবেষণায় বিনিয়োগ দরকার।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই ভবিষ্যতের ক্যাপ্টেন। শ্রম উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুটেক্সের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। তিনি বলেন, পাটচাষ ও রফতানি দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে বড় ভূমিকা রাখছে। আগামী বাণিজ্য মেলায় একমাত্র পাটব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।