ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
- আপডেট সময় : ০৫:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারের কাছে ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনে বিএনপির দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলো লিপিবদ্ধ না থাকায় সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবাক হয়ে আমরা লক্ষ্য করলাম, যখন ঐকমত্য কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করল, নোট অব ডিসেন্টগুলো নেই। পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা তো ঐকমত্য হতে পারে না। তাহলে ঐকমত্য কমিশনটা করা হয়েছিল কেন? এই ঐকমত্য কমিশন-এটা আমি বলব, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা।
জুলাই বিপ্লবের পর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। তিন দফায় কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বিএনপিসহ ৩৩ রাজনৈতিক দল। ৭২ দিনব্যাপী সংলাপে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষে উত্থাপিত ১৬৬টি বিষয়ের মধ্যে ৬৪টিতে ঐকমত্যে পৌঁছে কমিশন। এর ভিত্তিতেই তৈরি হয় ২৮ দফা প্রতিশ্রুতিসংবলিত জুলাই সনদ ২০২৫।
২৮ জুলাই খসড়া ভাষ্য চূড়ান্ত করে দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। আগস্ট–সেপ্টেম্বর জুড়ে বাস্তবায়নপদ্ধতি নিয়ে সংলাপের পর ১১ সেপ্টেম্বর খসড়া চূড়ান্ত হয় এবং ১৪–১৫ অক্টোবর এর চূড়ান্ত অনুলিপি দলগুলোর নিকট প্রেরণ করে কমিশন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদর্শ প্রকাশনীর উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহ্সান মাহমুদের লেখা এক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা সম্পাদন করে একটি নির্বাচন উপহার দেবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট ক্ষমতায় আসবে, সে পার্লামেন্ট দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে। এর যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তার দায় কিন্তু আপনাকেই বহন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতো বড় অভ্যুত্থানকে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারছি না। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হয়ে পড়ছি। কারা এই বিভক্তি তৈরি করছেন, সে বিষয়টি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। অথচ এই সময়টি হলো ঐক্যের সময়।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘকাল ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, এ দেশের মানুষও করেছে। একটা সময় প্রচার করা হলো যে, বিএনপি সংস্কারবিরোধী। অথচ সংস্কারের মাধ্যমেই বিএনপির জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে যে একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছিল, ৭৫ পরবর্তীতে সেই চিত্রের পরিবর্তন নিয়ে আসে বিএনপি।
বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, সমস্ত সংকটের মূলে রয়েছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের যে পার্লামেন্ট তৈরি হবে, সেই পার্লামেন্টের এসব সংস্কার সংবিধানে নিয়ে আসবে। সেই কারণেই আমরা পাঁচ আগস্টের পর নির্বাচন চেয়েছিলাম। যদিও অনেকে বলেছে, বিএনপি ক্ষমতা চায় বলে নির্বাচন চাইছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, চর্চা ডটকম-এর সম্পাদক সোহরাব হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।






















