ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ টুকরো দেহ মসজিদের সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে ইমাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১ ২৩৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হেফাজতে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র

মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিরোধের জেরেই আজহার নামের এক যুবককে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন ইমাম। ১৯ মে থেকে নিখোঁজ ছিল আজাহার। এতো বড় কান্ড ঘটিয়েও নিজের ঘরেই ঠান্ডা মাথায় অবস্থান করছিলেন ইমাম।

মঙ্গলবার সকালে সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে আজাহারের ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিন বিকালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, ৩৩ বছর যাবত ঢাকার দক্ষিণখানে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন। মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার দেহ ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছিলো।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, নিহত আজহারের ছেলে আরিয়ান মসজিদটির মক্তবে পড়াশোনা করতো। নিহত আজহারও তার কাছে কুরআন শিখতো। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।

এই ঘটনায় সঙ্গে পরকিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে ইমাম আব্দুর রহমান বলেছেন, আজহার আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং বলেছে তার স্ত্রীর ওপর ইমামের কু-দৃষ্টি দিয়েছি। এই কারণে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই হত্যার ঘটনা। এশার নামাজের পর থেকে ফরজের আযানের আগ পর্যন্ত আজহারকে কুপিয়ে ছয় টুকরা করার পর সেফটি ট্যাংকে তা লুকিয়ে রাখে। নিহতের স্ত্রীকে স্ত্রী আসমা বেগমকে র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৬ টুকরো দেহ মসজিদের সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে ইমাম

আপডেট সময় : ১০:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

হেফাজতে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র

মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিরোধের জেরেই আজহার নামের এক যুবককে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন ইমাম। ১৯ মে থেকে নিখোঁজ ছিল আজাহার। এতো বড় কান্ড ঘটিয়েও নিজের ঘরেই ঠান্ডা মাথায় অবস্থান করছিলেন ইমাম।

মঙ্গলবার সকালে সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে আজাহারের ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিন বিকালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, ৩৩ বছর যাবত ঢাকার দক্ষিণখানে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন। মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার দেহ ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছিলো।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, নিহত আজহারের ছেলে আরিয়ান মসজিদটির মক্তবে পড়াশোনা করতো। নিহত আজহারও তার কাছে কুরআন শিখতো। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।

এই ঘটনায় সঙ্গে পরকিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে ইমাম আব্দুর রহমান বলেছেন, আজহার আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং বলেছে তার স্ত্রীর ওপর ইমামের কু-দৃষ্টি দিয়েছি। এই কারণে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই হত্যার ঘটনা। এশার নামাজের পর থেকে ফরজের আযানের আগ পর্যন্ত আজহারকে কুপিয়ে ছয় টুকরা করার পর সেফটি ট্যাংকে তা লুকিয়ে রাখে। নিহতের স্ত্রীকে স্ত্রী আসমা বেগমকে র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।