শিথিল হচ্ছে লকডাউন আসছে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ পদ্ধতি
- আপডেট সময় : ১০:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার ঊর্ধমুখি সংক্রমণরোধে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে রয়েছে বাংলাদেশ। রমজান মাস চলছে। তারপরই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদের কেনাকাটা। এ অবস্থায় রবিবার থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। কেনাকাটায় ও যাতায়তে মাস্ক বাধ্যতামূলক। ২৮ এপ্রিলের পর আর লকডাউন নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ, ট্রেন ও নৌযান চলাচল উন্মুক্ত হচ্ছে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সংক্রমণ প্রায় দুই শতাংশের কাছাকাছি চলে আসে। একদিকে সংক্রমণ হার নিন্মমুখী অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টিকা কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর দেশের সকল পর্যটন ও বিনোকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর সেখানে মানুষের ঢল নামে।
মানুষের এই বেহিসেবি চলাচলের কারণে মার্চ মাসের প্রথম দিক থেকে সংক্রমণ হার ফের উর্ধমুখি। পরিস্থিতি যখন বেসামাল হয়ে পড়ে, ঠিক তখনই মানুষের জীবন রক্ষায় লকডাউনের পথে হাটে দেশ। এর সুফল মেলে। শুক্রবার মৃতের সংখ্যা ৮৮ জনে নেমে আসে। আর ২৫ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬২৯জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭।
অতিমারিতে কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মার্কেট কমিটিকে পদক্ষেপর নিতে হবে।
লকডাউন চলাকালে পণ্যবাহী ট্রেন ও লড়ি চলাচল করছে। ২৮ এপ্রিল চলমান লকডাউন শেষে নো মাস্ক নো সার্ভিস পদ্ধতিতে যাচ্ছে প্রশাসন। গণপরিবহন, যাত্রী ট্রেন এবং নৌযান চলাচল যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা শিথিল করা হবে।
সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। কারণ, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবীকার কথা চিন্তা করেই এমন ব্যবস্থা গ্রহণে যাচ্ছে সরকার।
প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে বাহরাইন ও কুয়েতে ফ্লাইট
আটকে পড়া প্রবাসীদের শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাতে ২৫ এপ্রিল থেকে কুয়েত ও বাহরাইন রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বলা হয়, বাহরাইন ও কুয়েতের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কর্মী ছুটিতে এসে আটকা পড়েন। তাদের ভিসার মেয়াদও শেষের দিকে।
২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালাতে চান মালিকরা
চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৮ এপ্রিল। পরদিন থেকেই গণপরিবহন চালাতে চান পরিবহন মালিকরা। দোকান মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তরফে রবিবার থেকে লকডাউনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি আসার পরই গণপরিবহন চালুর বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তারা ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালুর বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।