ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীতে ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধার, ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনায় নৃশংস হত্যা ফরচুন বরিশাল–ডিআরইউ মিডিয়া ক্রিকেট  ১৮ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে শান্তি ও অহিংসা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত নাশকতা ঠেকাতে ঢাকামুখী সন্দেহভাজনদের ব্যাগ তল্লাশি বাংলাদেশের বন্দর খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হতে যাচ্ছে শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে বাজার, বৈচিত্র্য বাড়লেও দাম চড়া বাংলাদেশে প্রতি তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের দুইজন ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন ভারতীয় গণমাধ্যমের দোষ চাপানো খবর বিশ্বাসের কারণ নেই: তৌহিদ হোসেন বিমানবন্দরে  বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানির নিচে ফসলি জমি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানির নিচে ফসলি জমি

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। জেলার নদনদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরগুলোতে মানুষের বসবাস ও কৃষিকাজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও তিস্তা ও দুধকুমর নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এখনও দৃশ্যমান নয়।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলমান বন্যায় চর ও দ্বীপচরের প্রায় ১,৮০০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমন, শাকসবজি, চীনা বাদাম ও মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে রয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বহু কৃষক।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, “বছরের শুরু থেকেই কয়েকবার তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে আমার আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে। এখন শুধু ক্ষতির হিসাব কষছি।”

বন্যার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত দু’দিনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পায়। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে এবং দুধকুমর নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে কমলেও ব্রহ্মপুত্রের তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। তবে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।”

জেলার পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক হলেও পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানির নিচে ফসলি জমি

আপডেট সময় : ১১:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। জেলার নদনদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরগুলোতে মানুষের বসবাস ও কৃষিকাজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও তিস্তা ও দুধকুমর নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এখনও দৃশ্যমান নয়।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলমান বন্যায় চর ও দ্বীপচরের প্রায় ১,৮০০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমন, শাকসবজি, চীনা বাদাম ও মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে রয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বহু কৃষক।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, “বছরের শুরু থেকেই কয়েকবার তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে আমার আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে। এখন শুধু ক্ষতির হিসাব কষছি।”

বন্যার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত দু’দিনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পায়। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে এবং দুধকুমর নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে কমলেও ব্রহ্মপুত্রের তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। তবে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।”

জেলার পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক হলেও পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।