ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে সেক্স চ্যাটের নেশায় বুঁদ ছিল আসিফ, তাঁকে টতস্থ থাকতেন পরিবারও

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মূল অভিযুক্তের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার অশ্লীল ভিডিয়ো

কালিয়াচক কাণ্ডের পরতে পরতে বিভিন্ন রহস্যের সন্ধান পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিস কর্তারা জানতে পেরেছেন, মূল অভিযুক্ত তথা বাড়ির ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদের কথাতেই পরিবার পরিচালিত হত। তাঁর ভয়ে কার্যত টতস্থ হয়ে থাকতেন পরিবারের সদস্যরা। কথার খেলাফ হলেই পরিবারের সদস্য়দের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত আসিফ।

প্রাথমিক ভাবে মূল অভিযুক্তের ল্যাপটপ ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানিতে পেরেছেন, অনলাইনে সেক্স চ্য়াটের নেশায় বুঁদ ছিল মহম্মদ আসিফ। তাঁর ল্যাপটপ থেকে মিলেছে অসংখ্য অশ্লীল ভিডিয়ো। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, আসিফ মহম্মদের দাদা আরিফ মহম্মদ চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন।

জয়েন্টে বসার জন্য কোচিংও নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসিফ মহম্মদের আপত্তির জন্য তা হয়নি।ম্যাজিস্টেটের সামনে ১৬৪ ধারায় আরিফ মহম্মদের জবানবন্দি নিতে পারেন তদন্তকারীরা। এতে তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে পুলিস।

কালিয়াচক কাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছেন, একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল আসিফের একুশ বছরের দাদা আরিফ। মেয়েটি তার বোনের বন্ধু। সেই সুত্রেই তার যাতায়াত ছিল আরিফের বাড়িতে। আরিফ ও তার বোনের বন্ধুর ঘনিষ্ঠতা গড়িয়েছিল শারীরিক সম্পর্কে।

জেরায় ওই কথা স্বীকারও করেছে আরিফ। এদিকে, বোনের বন্ধুর সঙ্গে আরিফের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো ফুটেজ তার কাছে রয়েছে বলে দাদাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে আসিফ। এর জেরেই খুনের কথা জেনেও চুপ ছিলেন মহম্মদ আরিফ। মালদহের বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন তিনি। সূত্র জি২৪ঘন্টা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অনলাইনে সেক্স চ্যাটের নেশায় বুঁদ ছিল আসিফ, তাঁকে টতস্থ থাকতেন পরিবারও

আপডেট সময় : ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

মূল অভিযুক্তের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার অশ্লীল ভিডিয়ো

কালিয়াচক কাণ্ডের পরতে পরতে বিভিন্ন রহস্যের সন্ধান পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিস কর্তারা জানতে পেরেছেন, মূল অভিযুক্ত তথা বাড়ির ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদের কথাতেই পরিবার পরিচালিত হত। তাঁর ভয়ে কার্যত টতস্থ হয়ে থাকতেন পরিবারের সদস্যরা। কথার খেলাফ হলেই পরিবারের সদস্য়দের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত আসিফ।

প্রাথমিক ভাবে মূল অভিযুক্তের ল্যাপটপ ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানিতে পেরেছেন, অনলাইনে সেক্স চ্য়াটের নেশায় বুঁদ ছিল মহম্মদ আসিফ। তাঁর ল্যাপটপ থেকে মিলেছে অসংখ্য অশ্লীল ভিডিয়ো। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, আসিফ মহম্মদের দাদা আরিফ মহম্মদ চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন।

জয়েন্টে বসার জন্য কোচিংও নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসিফ মহম্মদের আপত্তির জন্য তা হয়নি।ম্যাজিস্টেটের সামনে ১৬৪ ধারায় আরিফ মহম্মদের জবানবন্দি নিতে পারেন তদন্তকারীরা। এতে তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে পুলিস।

কালিয়াচক কাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছেন, একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল আসিফের একুশ বছরের দাদা আরিফ। মেয়েটি তার বোনের বন্ধু। সেই সুত্রেই তার যাতায়াত ছিল আরিফের বাড়িতে। আরিফ ও তার বোনের বন্ধুর ঘনিষ্ঠতা গড়িয়েছিল শারীরিক সম্পর্কে।

জেরায় ওই কথা স্বীকারও করেছে আরিফ। এদিকে, বোনের বন্ধুর সঙ্গে আরিফের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো ফুটেজ তার কাছে রয়েছে বলে দাদাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে আসিফ। এর জেরেই খুনের কথা জেনেও চুপ ছিলেন মহম্মদ আরিফ। মালদহের বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন তিনি। সূত্র জি২৪ঘন্টা ।