৬ শিক্ষার্থী হত্যা: বাংলাদেশে ১৩ জনের ফাঁসির আদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:২২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
চাঞ্চল্যকর ছয় শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মালেকসহ ১৩ জনকে ফাঁসি এবং ১৯
জনকে আজীবন কারাভোগের দণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ
আদালতের বিচারক ইসমত জাহান। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি জনাকীর্ণ
আদালতে এই নজির গড়া রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এসময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো জোরদার।
প্রায় ১০ বছর পর আগের ঘটনা। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই। দিনটি ছিলো মুসলামানদের জন্য
পবিত্র শবে বরাতের রাত। এদিন ঢাকার অদূরে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে
বেড়াতে গিয়েছিলো ছয় বন্ধু। তারা সবাই শিক্ষার্থী। এসময় ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে
হত্যা করে গ্রামবাসী। ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা বার বার নিজেদের পরিচয় দিয়ে তারা সেখানে
ঘুরতে গিয়েছে বলে জানালেও গ্রামবাসী তা আমলে নেয়নি। বরং অনেকে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত
করে তোলার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ৪৫ আসামীকে আদালতে তোলা হয়। ৬০ আসামীর
মধ্যে ১৩ জনের ফাঁসি ও ১৯ জনের আজীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। বাকী
আসামীর মধ্যে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর আসামীরা খালাস পায়। রায় ঘোষণার সময় নিহত
শিক্ষার্থীদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্রুত রায় কার্যকর দেখার দাবি জানান। অপর দিকে
সরকারী আইনজীবী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে
আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। এসময় আসামী পক্ষের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার পর বিচারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই যুগান্তকারী রায়ে নিহতর স্বজনরা সন্তোষ
প্রকাশ করে বলেছেন, এতো দিন আমি কেদেছি-এবারে তারা কাঁদবে। আদালতের সরকারি
কৌঁসুলি আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিচারক ১৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার
টাকা জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া অপর আরও এক ধারায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামীকে সাত
বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। আসামিরা তা দিতে ব্যর্থ হলে আরও
ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন। পিপি আরও বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া ১৯
জন আসামিকে রায়ের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অপর ধারায়
তাদেরও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন।




















