হাদির ওপর হামলা: বৃহৎ চক্রান্তের ক্ষুদ্র অংশ হিসাবে দেখছে বিএনপি
- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে না বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এটি বৃহৎ চক্রান্তের ক্ষুদ্র অংশ।
শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন আব্বাস। সমাবেশে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর আগের হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এর আগে চট্টগ্রামে এরশাদ উল্লাহর ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। এবার হাদির ওপর আক্রমণ। এটা বৃহৎ চক্রান্তের ক্ষুদ্র একটি অংশ। সামনে আরও চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র প্রকাশ পাবে।
তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করার মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। এই অপশক্তির কালো হাত ভেঙে দিতে হবে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তারা সাবধান হোক, বলেন তিনি।
সমাবেশে হাদির ওপর হামলার সময় এবং ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টের উদ্ধৃতি তুলে মির্জা আব্বাস দাবি করেন, হামলা পূর্বপরিকল্পিত। সোয়া দুইটায় হাদির ওপর গুলি চালানো হয়, আড়াইটার সময় ফেসবুকে একটি পোস্ট আসে, যেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ।
মির্জা আব্বাস হাদির সমর্থক নয় এমন স্লোগান দানকারীদের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা হিসেবে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল হাদিকে প্রাণঘাতীভাবে আঘাত করা।
সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর হোসেন রবিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির এই সমাবেশে হাদির ওপর হামলার ঘটনা সুপরিকল্পিত এবং দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।



















