ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: কর্মকর্তাদের আর্চারিতে  চ্যাম্পিয়ন  কিবরিয়া গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আমেরিকা জুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ ঝড় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৩০০ বাংলাদেশি পাটপণ্যের পুনর্জাগরণে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড, টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্তের আহ্বান কার্গো ভিলেজে আগুনে ছাই ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য, পুড়েছে স্বপ্নও ১ নভেম্বর থেকে এমপিও শিক্ষকদের নতুন বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব পুরুষ আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন তামিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক যুগের অগ্নিকাণ্ড ঢাকার প্রধান বিমানবন্দরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ-উত্তেজনা,  মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঘটনায় ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাগরিকা জামালীর ‘ফুটলনা ফুলের মুকুল’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা 

গাছটির পাতা আজ আর একটুও নড়ছেনা , নির্বাক !!
একটু আগে বুলেটের শব্দে কেঁপে উঠেছিল গাছের পাতা —
ভাবছিল কি অপরাধ ছিল চৌদ্দ বৎসরের কিশোরটির ???
রোজ গাছের তলায় বসে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখত বলে ??
জয় বাংলা বলে নারকেলের পাতা দিয়ে চশমা বানিয়ে –
মুজিব মুজিব সেজেছিল বলে ?
না কি গাছের তলায় মাটি, ঘাস আর গাছের
ফুলপাতা দিয়ে স্বপ্নের স্বাধীন দেশের ছবি সাজিয়েছিল বলে ?

টগর ফুলের গাছটিও আজ অঝোরে কাঁদছিল।
গতকালও ছেলেটি তার ঝরে পড়া সাদা টগর ফুল দিয়ে –
শান্তির কবুতর বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছিল খেলার ছলে ।
ফুল গুলো নিজের ঝরে পড়াকে স্বার্থক বলে মনে করছিল !!

গাছে বসে থাকা কোকিলটি স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ !
শুধু একটা গুলির শব্দ আর ছেলেটির বুকের
তাজা রক্ত দেখে ও সুর ভুলে গিয়েছে !–ভেবেছিল গতকালও,ছেলেটি সারাক্ষণ যে গানটি গাইত, সে ও তার সাথে গাইবে –“আমার মুক্তি আলোয় আলোয় , এই আকাশে –”
স্বাধীন দেশের স্বাধীন আকাশে ওড়ার গান ।।

ছেলেটি পতাকা বানিয়ে , খেলনা মন্চ সাজিয়ে
মুজিব সেজে যখন কিশোর গলার ভাঙা স্বর
যতটা ভারী করা সম্ভব, সে রকম করে বলছিল–
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “-

ওর খেলনা চশমা পড়ে অভিনয় দেখে তারা
অবাক হয়ে ওকে দেখছিল , ওর আনন্দে
আনন্দিত হচ্ছিল !—-হঠাৎ শেষ বিকেলের নিস্তব্ধতার বুকে
বুটের মচ মচ শব্দে আতঙ্কিত হয়ে উঠল চারিদিক !!
কিছু মুহূর্ত–একটি পাকিস্তানী সৈনিক ক্রুর হাসি হেসে
তার রাইফেলটি ছেলেটির দিকে তুলে ধরেই বলে ওঠে-
শালা ! স্বধীনতার কথা বলছে -তারপর গুলি করল…
লুটিয়ে পড়ল ছেলেটি গাছের তলায়, ওর হাতে
ধরা ছিল কলাপাতা দিয়ে তৈরী সবুজ রং -এর পতাকা ,
বুকের ছিটকে পড়া তাজা রক্তে কলাপাতার
বুক রঙীন হয়ে গেল —
শেষ মুহূর্তে ওর নরম ঠোঁট
বিড় বিড় করে স্বধীনতার কথাই বলছিল —
তারপর সে চলে গেল চির যাত্রার অজানা পথে —
অবুঝ কিশোর জানলোওনা, সে কী দিয়ে গেল আজ

তাঁর সাধের স্বপ্নের ভূখন্ডটিকে ! স্বপ্নের বীজ বপন
করল মানুষের মনে –স্বাধীন দেশ , স্বাধীন আকাশ , স্বাধীন চেতনা–কেউ জানলোনা সেই
কিশোরের কথা !!!
শুধু গাছ, টগর ফুল আর কোকিল তাদের ভাষায়
চিৎকার করে বলে উঠল— আমরা তোমাকে ভুলবনা , কোনদিন ভুলবনা —-
তোমার স্বপ্নের দেশে পাতা হব, ফুল ফোটাব আর গান গাইব !!!!!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাগরিকা জামালীর ‘ফুটলনা ফুলের মুকুল’

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা 

গাছটির পাতা আজ আর একটুও নড়ছেনা , নির্বাক !!
একটু আগে বুলেটের শব্দে কেঁপে উঠেছিল গাছের পাতা —
ভাবছিল কি অপরাধ ছিল চৌদ্দ বৎসরের কিশোরটির ???
রোজ গাছের তলায় বসে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখত বলে ??
জয় বাংলা বলে নারকেলের পাতা দিয়ে চশমা বানিয়ে –
মুজিব মুজিব সেজেছিল বলে ?
না কি গাছের তলায় মাটি, ঘাস আর গাছের
ফুলপাতা দিয়ে স্বপ্নের স্বাধীন দেশের ছবি সাজিয়েছিল বলে ?

টগর ফুলের গাছটিও আজ অঝোরে কাঁদছিল।
গতকালও ছেলেটি তার ঝরে পড়া সাদা টগর ফুল দিয়ে –
শান্তির কবুতর বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছিল খেলার ছলে ।
ফুল গুলো নিজের ঝরে পড়াকে স্বার্থক বলে মনে করছিল !!

গাছে বসে থাকা কোকিলটি স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ !
শুধু একটা গুলির শব্দ আর ছেলেটির বুকের
তাজা রক্ত দেখে ও সুর ভুলে গিয়েছে !–ভেবেছিল গতকালও,ছেলেটি সারাক্ষণ যে গানটি গাইত, সে ও তার সাথে গাইবে –“আমার মুক্তি আলোয় আলোয় , এই আকাশে –”
স্বাধীন দেশের স্বাধীন আকাশে ওড়ার গান ।।

ছেলেটি পতাকা বানিয়ে , খেলনা মন্চ সাজিয়ে
মুজিব সেজে যখন কিশোর গলার ভাঙা স্বর
যতটা ভারী করা সম্ভব, সে রকম করে বলছিল–
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “-

ওর খেলনা চশমা পড়ে অভিনয় দেখে তারা
অবাক হয়ে ওকে দেখছিল , ওর আনন্দে
আনন্দিত হচ্ছিল !—-হঠাৎ শেষ বিকেলের নিস্তব্ধতার বুকে
বুটের মচ মচ শব্দে আতঙ্কিত হয়ে উঠল চারিদিক !!
কিছু মুহূর্ত–একটি পাকিস্তানী সৈনিক ক্রুর হাসি হেসে
তার রাইফেলটি ছেলেটির দিকে তুলে ধরেই বলে ওঠে-
শালা ! স্বধীনতার কথা বলছে -তারপর গুলি করল…
লুটিয়ে পড়ল ছেলেটি গাছের তলায়, ওর হাতে
ধরা ছিল কলাপাতা দিয়ে তৈরী সবুজ রং -এর পতাকা ,
বুকের ছিটকে পড়া তাজা রক্তে কলাপাতার
বুক রঙীন হয়ে গেল —
শেষ মুহূর্তে ওর নরম ঠোঁট
বিড় বিড় করে স্বধীনতার কথাই বলছিল —
তারপর সে চলে গেল চির যাত্রার অজানা পথে —
অবুঝ কিশোর জানলোওনা, সে কী দিয়ে গেল আজ

তাঁর সাধের স্বপ্নের ভূখন্ডটিকে ! স্বপ্নের বীজ বপন
করল মানুষের মনে –স্বাধীন দেশ , স্বাধীন আকাশ , স্বাধীন চেতনা–কেউ জানলোনা সেই
কিশোরের কথা !!!
শুধু গাছ, টগর ফুল আর কোকিল তাদের ভাষায়
চিৎকার করে বলে উঠল— আমরা তোমাকে ভুলবনা , কোনদিন ভুলবনা —-
তোমার স্বপ্নের দেশে পাতা হব, ফুল ফোটাব আর গান গাইব !!!!!