রাজনীতির মঞ্চে প্রত্যাবর্তন, ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন তারেক রহমান
- আপডেট সময় : ০৯:০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
তারেক রহমানের দেশে আগমন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে সহায়ক হবে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার দিন চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ন’টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন তারেক রহমান। দলের তরফে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তারেক রহমানের দেশে আগমন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য মির্জা ফখরুলের।

এ জন্য তারেক রহমানের আগমন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা চান বিএনপি মহাসচিব।
তারেক রহমান ২০০৭ সালের এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান এবং সেখানেই অবস্থান করে আসছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় তাঁর সাজার রায় বাতিল হয় এবং কয়েকটি মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পান। এরপর থেকেই তাঁর দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তারেক রহমানের দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে। এ সময় লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি মায়ের সান্নিধ্যে থাকার আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করলেও বলেন, বিষয়টি তাঁর একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল নয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাও আলোচনায় আসে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। তাঁর মতে, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত অপশক্তির চক্রান্তের অংশ হিসেবেও এ ঘটনা হতে পারে।
এ ঘটনায় আহত ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের সঙ্গে একদল লোকের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, মির্জা আব্বাস একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সহানুভূতি জানাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও চক্রান্তকারী মব তৈরির চেষ্টা করেছে, যা বিএনপি মেনে নেবে না।
বিএনপি কোনো গোলযোগ বা সন্ত্রাস চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে দলের ওপর আঘাত এলে তার জবাব দিতে বিএনপি জানে। এসময় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে মব সৃষ্টি ও উত্তেজনা এড়িয়ে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।



















