ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার: ভর্তিচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার: ভর্তিচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের মোট ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য পরীক্ষার দিনে মানতে হবে এমন কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নিজ কেন্দ্রের হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালি স্বচ্ছ বলপেন, এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। এর বাইরে কোনো ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত যেকোনো গুজব বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই, এবং গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় থাকছে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি ১৫ নম্বর। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।

এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর ধরা হবে, এসএসসি জিপিএ×৮ এবং এইচএসসি জিপিএ×১২। লিখিতসহ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৩ এবং গত বছর সরকারি সিটে ভর্তি থাকা পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কাটা হবে।

এবার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি, যেখানে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ফলে আসনপ্রতি প্রতিযোগিতা প্রায় ৯.৪ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬০৪ জন, আর ছাত্র ৪৯ হাজার ২৮ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার: ভর্তিচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

আপডেট সময় : ০৭:০২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের মোট ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য পরীক্ষার দিনে মানতে হবে এমন কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নিজ কেন্দ্রের হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালি স্বচ্ছ বলপেন, এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। এর বাইরে কোনো ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত যেকোনো গুজব বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই, এবং গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় থাকছে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি ১৫ নম্বর। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।

এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর ধরা হবে, এসএসসি জিপিএ×৮ এবং এইচএসসি জিপিএ×১২। লিখিতসহ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৩ এবং গত বছর সরকারি সিটে ভর্তি থাকা পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কাটা হবে।

এবার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি, যেখানে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ফলে আসনপ্রতি প্রতিযোগিতা প্রায় ৯.৪ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬০৪ জন, আর ছাত্র ৪৯ হাজার ২৮ জন।