প্রাণঘাতী টিকা আবিষ্কারের সুখবর

- আপডেট সময় : ১০:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩ ৩১৮ বার পড়া হয়েছে
২০৩০ সালের মধ্যে পাওয়া যাবে টিকা
যার রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে
ক্যানসার ও হৃদরোগসহ লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে
অনলাইন হেলথ ডেস্ক
ক্যানসার ও হৃদরোগসহ প্রাণঘাতী টিকা আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশা করছেন, এই টিকা লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। এসব টিকা নিয়ে তাদের গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানিরা কোভিড টিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, বিশ্বে হঠাৎ দেখা দেওয়া কোন মহারির টিকা এতোটা দ্রুত আবিষ্কার তাদের গবেষণাকে আরো গতিশীল করেছে।
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করছে।
মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব আমরা। পুরো মাত্রায় ব্যবহারের জন্য ক্যানসার, হূদেরাগের মতো শারীরিক সমস্যার টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।

বার্টন বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এসব জটিল রোগের ভ্যাকসিন মিলবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে। এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।
বার্টন বলেন, ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। তিনি মনে করেন, বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।