ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোটের আট ভাগের এক ভাগ অর্জনে ব্যর্থ হলে জামানত বাজেয়াপ্ত হাদির ওপর হামলা:  বৃহৎ চক্রান্তের ক্ষুদ্র অংশ হিসাবে দেখছে বিএনপি হাদির ওপর হামলার আসামি শনাক্ত: ডিএমপি কমিশনারের ভাষ্য সংসদ নির্বাচন সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনেও  খোলা থাকবে নির্বাচনী অফিসসমূহ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল: প্রার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ট্যালকভিত্তিক বেবি পাউডার মামলা: জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৪ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেত্রী আবির মুসির ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া হাদির পরিবারের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ, সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের আশ্বাস সীমান্তে নজরদারী জোরদার, হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা মেসির সঙ্গে দেখা, ছবি তোলা, কিন্তু মাঠে নামা হল না! হোটেল থেকেই ফিরলেন শাহরুখ খান

তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেত্রী আবির মুসির ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেত্রী আবির মুসির ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত তিউনিসিয়ায় প্রভাবশালী বিরোধী নেত্রী ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির (এফডিপি) সভাপতি আবির মুসিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমালোচকদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযানের মধ্যেই এই রায় এলো, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার ঘোষিত রায়কে অন্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতবলে আখ্যা দিয়েছেন মুসির আইনজীবী নাফা লারিবি। তাঁর ভাষ্য, এটি কোনো স্বাধীন বিচারিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সরকারনির্দেশিত আদেশ। গত দুই বছরে মুসির বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় বিচারিক আদেশ।

ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আবির মুসিকে ইচ্ছাকৃত নির্বিচারভাবেআটক রাখা হয়েছে। বিরোধী কণ্ঠরোধ করতেই তাঁকে একের পর এক মামলার মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দলটির।

২০১৬ সাল থেকে দলটির নেতৃত্বে থাকা আবির মুসি সাবেক প্রেসিডেন্ট আবিদিন বেন আলির ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের আরব বসন্তে বেন আলির পতনের পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং পরে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন।

২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে সংসদ ভেঙে ডিক্রির মাধ্যমে শাসন শুরু করেন কাইস সাইদ। তাঁর দাবি, দেশকে নৈরাজ্য থেকে রক্ষা করতেই এসব পদক্ষেপ। তবে বিরোধী দল মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এতে তিউনিসিয়া আবারও কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটছে।

প্রেসিডেন্ট সাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেত্রী আবির মুসির ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত তিউনিসিয়ায় প্রভাবশালী বিরোধী নেত্রী ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির (এফডিপি) সভাপতি আবির মুসিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমালোচকদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযানের মধ্যেই এই রায় এলো, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার ঘোষিত রায়কে অন্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতবলে আখ্যা দিয়েছেন মুসির আইনজীবী নাফা লারিবি। তাঁর ভাষ্য, এটি কোনো স্বাধীন বিচারিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সরকারনির্দেশিত আদেশ। গত দুই বছরে মুসির বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় বিচারিক আদেশ।

ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আবির মুসিকে ইচ্ছাকৃত নির্বিচারভাবেআটক রাখা হয়েছে। বিরোধী কণ্ঠরোধ করতেই তাঁকে একের পর এক মামলার মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দলটির।

২০১৬ সাল থেকে দলটির নেতৃত্বে থাকা আবির মুসি সাবেক প্রেসিডেন্ট আবিদিন বেন আলির ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের আরব বসন্তে বেন আলির পতনের পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং পরে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন।

২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে সংসদ ভেঙে ডিক্রির মাধ্যমে শাসন শুরু করেন কাইস সাইদ। তাঁর দাবি, দেশকে নৈরাজ্য থেকে রক্ষা করতেই এসব পদক্ষেপ। তবে বিরোধী দল মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এতে তিউনিসিয়া আবারও কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটছে।

প্রেসিডেন্ট সাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।