তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেত্রী আবির মুসির ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- আপডেট সময় : ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত তিউনিসিয়ায় প্রভাবশালী বিরোধী নেত্রী ও ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির (এফডিপি) সভাপতি আবির মুসিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমালোচকদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযানের মধ্যেই এই রায় এলো, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার ঘোষিত রায়কে অন্যায় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মুসির আইনজীবী নাফা লারিবি। তাঁর ভাষ্য, এটি কোনো স্বাধীন বিচারিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সরকার–নির্দেশিত আদেশ। গত দুই বছরে মুসির বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় বিচারিক আদেশ।
ফ্রি ডেসতুরিয়ান পার্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর থেকে আবির মুসিকে ইচ্ছাকৃত ও নির্বিচারভাবে’ আটক রাখা হয়েছে। বিরোধী কণ্ঠরোধ করতেই তাঁকে একের পর এক মামলার মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দলটির।
২০১৬ সাল থেকে দলটির নেতৃত্বে থাকা আবির মুসি সাবেক প্রেসিডেন্ট আবিদিন বেন আলির ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালের আরব বসন্তে বেন আলির পতনের পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং পরে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন ও প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সালে সংসদ ভেঙে ডিক্রির মাধ্যমে শাসন শুরু করেন কাইস সাইদ। তাঁর দাবি, দেশকে নৈরাজ্য থেকে রক্ষা করতেই এসব পদক্ষেপ। তবে বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এতে তিউনিসিয়া আবারও কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটছে।
প্রেসিডেন্ট সাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।



















