ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনের দাবি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঢাকায় মৈত্রী দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন-সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে তারেকের নেতৃত্বেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি : আমির খসরু গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ আসিম মুনিরের হাতে পাকিস্তানের পরমাণু ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ শীতের মহাজন পঞ্চগড়ে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে পুশইনের শিকার সোনালী ও তার সন্তান বিএসএফের কাছে হস্তান্তর বিজিবির এয়ারবাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১৮০ যাত্রী

টাস্কফোর্সের অভিযান: বিনা টিকিটের সাড়ে ৬ হাজার ট্রেনযাত্রীর ভাড়া ও জরিমানা ১৮,৩৫,৫৭০ টাকা আদায়

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১ ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

 রেলওয়ের নজির গড়া উদ্যোগ 

পশ্চাতমুখো রেলপরিষেবাকে আগামীর গতিশীল, যাত্রীবান্ধব এবং সর্বজনিন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা রেলপথ মন্ত্রক করেছেন। তিনি চান রেলপরিষেবা হবে সময় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রার অন্যতম বাহন। তাতে সড়কে চাপ কমবে এবং একসঙ্গে দ্রুত বহু যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে। শেখ হাসিনার দেখানো পথেই গতিশীল হচ্ছে রেল। এমন বক্তব্যবাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সূজনের। রেলপথ মন্ত্রী সাফ কথা ‘রেলের উন্নয়নে যা যা করণীয় তার একবিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না’।

বাংলাদেশে ট্রেন ভ্রমণে যে সমস্যাটি সাধারণ যাত্রীদের বিরক্তির অন্যতম কারণ তা হচ্ছে বিনাটিকিটের যাত্রী। রেলেওয়ের দু’টো বিভাগ পূর্ব ও পশ্চিম। দু’টোর চেহারা একই। হরদম বিনা টিকিটের যাত্রী ভ্রমণ যেন নিয়ম সিদ্ধ! এসব যাত্রীদের অনেকেই বিভিন্ন কামড়ায় দাঁড়িয়ে,

কোথাও কোথাও আবার সিটে বসে ভ্রমণ করছেন। তাতে টিকিট যাত্রীদের বিরম্বনায় মুখোমুখি হতে হয়। পূঞ্চলের কিছু স্টেশন রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত স্টপেজে ট্রেন দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিনা টিকিটের যাত্রীরা জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে নিরাপদে চলে যান। আবার ট্রেনের গতি কমে

আসার সঙ্গে সঙ্গে বিনাটিকিটের বহু যাত্রী দরজা দিয়ে নেমে যান। পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি স্টেশন এলাকার বহু যাত্রী যারা টিকিট কাটার প্রয়োজনবোধ করেন না। তারা কোন কোন ক্ষেত্রে হুমকিও দিয়ে থাকেন।

৬ হাজার ৬৫৫ ট্রেনযাত্রীর জরিমানা

পশ্চিমাঞ্চলের একটি উদ্যোগ জানা গেল। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে ১১টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ হাজার ৬৫৫ ট্রেনযাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া ও জরিমানা মিলিয়ে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭০ টাকা আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে ভাড়া বাবদ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং

জরিমানা বাবদ ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮০৫ টাকা আদায় করা হয়। ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিনের ব্লক চেকিংয়ে পাকশি রেলওয়ে বিভাগের কোষাগারে উল্লেখিত টাকা জমা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজশাহী থেকে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত

নিয়ে মাঠে নামে পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক দফতর। পাকশি বিভাগ সূত্রের খবর, রাজশাহী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ১১টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে টাস্কফোর্স গঠন করে ভাড়াসহ জরিমানা আদায় করেন তারা। তাতে উল্লেখিত পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে যাত্রীদের বের হওয়ার সময় টিকিট বিহীন যাত্রীদের চিহ্নিত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত

করে বলেন, খুলনা জংশন স্টেশন, পোড়াদহ জংশন স্টেশন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন, সান্তাহার জংশন স্টেশন, আবদুলপুর জংশন স্টেশন ও রাজশাহী স্টেশনে অভিযান চালানো হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগের তরফে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সাজেদুল ইসলাম, রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, ইয়াসির আরাফাত, হাসিবুর রহমানসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যাতায়ত নিশ্চিতে রেলওয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যাতায়ত নিশ্চিতে হাত বাড়িয়ে দেয় পশ্চিমাঞ্চল রেল। যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছিল। এমন কী রাজশাহী থেকে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর পদ্মা, সিল্কসিটি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ, তিতুমীর এবং বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়।

টাস্কফোর্স গঠন

বিনা টিকিটের যাত্রীদের প্রতিরোধকল্পে পাকশী বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের রাজশাহীতে যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনা টিকিটের যাত্রী সংখ্যাও বেড়ে যায়। বিষয়টি লক্ষ্য করে গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশনে ৯ দিনব্যাপী টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাস্কফোর্সের অভিযান: বিনা টিকিটের সাড়ে ৬ হাজার ট্রেনযাত্রীর ভাড়া ও জরিমানা ১৮,৩৫,৫৭০ টাকা আদায়

আপডেট সময় : ০২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

ছবি সংগ্রহ

 রেলওয়ের নজির গড়া উদ্যোগ 

পশ্চাতমুখো রেলপরিষেবাকে আগামীর গতিশীল, যাত্রীবান্ধব এবং সর্বজনিন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা রেলপথ মন্ত্রক করেছেন। তিনি চান রেলপরিষেবা হবে সময় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রার অন্যতম বাহন। তাতে সড়কে চাপ কমবে এবং একসঙ্গে দ্রুত বহু যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে। শেখ হাসিনার দেখানো পথেই গতিশীল হচ্ছে রেল। এমন বক্তব্যবাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সূজনের। রেলপথ মন্ত্রী সাফ কথা ‘রেলের উন্নয়নে যা যা করণীয় তার একবিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না’।

বাংলাদেশে ট্রেন ভ্রমণে যে সমস্যাটি সাধারণ যাত্রীদের বিরক্তির অন্যতম কারণ তা হচ্ছে বিনাটিকিটের যাত্রী। রেলেওয়ের দু’টো বিভাগ পূর্ব ও পশ্চিম। দু’টোর চেহারা একই। হরদম বিনা টিকিটের যাত্রী ভ্রমণ যেন নিয়ম সিদ্ধ! এসব যাত্রীদের অনেকেই বিভিন্ন কামড়ায় দাঁড়িয়ে,

কোথাও কোথাও আবার সিটে বসে ভ্রমণ করছেন। তাতে টিকিট যাত্রীদের বিরম্বনায় মুখোমুখি হতে হয়। পূঞ্চলের কিছু স্টেশন রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত স্টপেজে ট্রেন দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিনা টিকিটের যাত্রীরা জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে নিরাপদে চলে যান। আবার ট্রেনের গতি কমে

আসার সঙ্গে সঙ্গে বিনাটিকিটের বহু যাত্রী দরজা দিয়ে নেমে যান। পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি স্টেশন এলাকার বহু যাত্রী যারা টিকিট কাটার প্রয়োজনবোধ করেন না। তারা কোন কোন ক্ষেত্রে হুমকিও দিয়ে থাকেন।

৬ হাজার ৬৫৫ ট্রেনযাত্রীর জরিমানা

পশ্চিমাঞ্চলের একটি উদ্যোগ জানা গেল। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে ১১টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ হাজার ৬৫৫ ট্রেনযাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া ও জরিমানা মিলিয়ে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭০ টাকা আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে ভাড়া বাবদ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং

জরিমানা বাবদ ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮০৫ টাকা আদায় করা হয়। ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিনের ব্লক চেকিংয়ে পাকশি রেলওয়ে বিভাগের কোষাগারে উল্লেখিত টাকা জমা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজশাহী থেকে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত

নিয়ে মাঠে নামে পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক দফতর। পাকশি বিভাগ সূত্রের খবর, রাজশাহী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ১১টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে টাস্কফোর্স গঠন করে ভাড়াসহ জরিমানা আদায় করেন তারা। তাতে উল্লেখিত পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে যাত্রীদের বের হওয়ার সময় টিকিট বিহীন যাত্রীদের চিহ্নিত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত

করে বলেন, খুলনা জংশন স্টেশন, পোড়াদহ জংশন স্টেশন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন, সান্তাহার জংশন স্টেশন, আবদুলপুর জংশন স্টেশন ও রাজশাহী স্টেশনে অভিযান চালানো হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগের তরফে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সাজেদুল ইসলাম, রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, ইয়াসির আরাফাত, হাসিবুর রহমানসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যাতায়ত নিশ্চিতে রেলওয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যাতায়ত নিশ্চিতে হাত বাড়িয়ে দেয় পশ্চিমাঞ্চল রেল। যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছিল। এমন কী রাজশাহী থেকে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর পদ্মা, সিল্কসিটি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ, তিতুমীর এবং বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়।

টাস্কফোর্স গঠন

বিনা টিকিটের যাত্রীদের প্রতিরোধকল্পে পাকশী বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের রাজশাহীতে যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনা টিকিটের যাত্রী সংখ্যাও বেড়ে যায়। বিষয়টি লক্ষ্য করে গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশনে ৯ দিনব্যাপী টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।