গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
- আপডেট সময় : ০২:০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার বিজয়নগরে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি এখনো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষায়, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল হলেও তিনি এখনো বেঁচে আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান জানান, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এখনো আশার কথা শোনাতে পারছি না। উনার কন্ডিশন খুবই খারাপ। তবে তিনি বেঁচে আছেন, এটাই আপাতত বাস্তবতা।
চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার সময় থেকেই তাঁর সাইন অব লাইফ ছিল। অপারেশন চলাকালীনও নিজস্ব শ্বাসপ্রশ্বাসের চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। তবে অস্ত্রোপচারের সময় তিনি দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। নাক ও মুখ দিয়েও রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল।
ডা. জাহিদ রায়হান আরও জানান, গুলি হাদির মাথার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বুলেটটি বের হয়ে গেছে, তবুও মস্তিষ্কের ভেতরে বুলেটের ক্ষুদ্র কিছু অংশ বা ফ্রেগমেন্ট রয়ে গেছে।
অস্ত্রোপচারের সময় সেগুলোর কিছু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় অংশে আঘাতের কারণে সেখানে নতুন করে কোনো সার্জিক্যাল হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
উন্নত আইসিইউ সাপোর্টের জন্য স্বজনদের সিদ্ধান্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওসমান হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ওসমান হাদি এর আগেই প্রাণনাশের হুমকির কথা জানিয়েছিলেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি দাবি করেন, দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০টি নম্বর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ১৪ নভেম্বর ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, তাকে হত্যা, বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে এটিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যা দেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।



















