পুলিশে যোগ হচ্ছে মেডিক্যাল শিক্ষা ও এয়ার উইং ইউনিট
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৩০২ বার পড়া হয়েছে
রোল মডেল হবে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবং আধুনিকতার পথ বেয়ে পুলিশ বাহিনীর কাজের পরিধিও বেড়েছে। মানুষের সেবা বাড়াতে পুলিশ বাহিনীতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ইউনিট। সব মিলিয়ে বর্তমানে ইউনিট ১৭৭টি রয়েছে বাহিনীটিতে। নতুন করে যোগ হচ্ছে মেডিক্যাল, শিক্ষা ইউনিট, এয়ার উইংসহ আরও একাধিক ইউনিট। বর্তমানে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার। পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে হাসিনা সরকার।
পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বিশ্বে রোল মডেল হবে বাংলাদেশ পুলিশ। অসৎ কোনো কর্মকর্তা এই বাহিনীতে থাকতে পারবেন না। সৎ কর্মকর্তারা টিকে থাকবেন। মাদক, দুর্নীতিসহ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নও এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের সারা দেশের ইউনিটগুলোতে সাইবার সেকশন রয়েছে। এখন চিন্তা করা হচ্ছে, স্বতন্ত্র সাইবার থানার। বিমানবন্দর কেন্দ্রিক গঠন করা হয় পুলিশের আলাদা ইউনিট। পুলিশের কনস্টেবল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সবাইকে নিয়মিত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হচ্ছে। সারা দেশেই অনেকগুলো ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। দেশের বাইরে গিয়েও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। একই সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা জানাতে ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়মিত সেসব দেশে যেতে হচ্ছে।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে একেবারেই ক্লু লেস অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পুলিশের সাফল্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে থানা পর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এখনো অনেক অভিযোগ রয়েছে। এক শ্রেণির ডিআইজি ও এসপির সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে থানা পর্যায়ের এক শ্রেণির পুলিশের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
ডিউটি অফিসারের কক্ষ, হাজতখানা এবং সেন্ট্রিবক্স এই তিনটি স্থানকে ঘিরেই আবর্তিত হয় থানার মূল কার্যক্রম। অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বে অবহেলাসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ এসব স্থানকে কেন্দ্র করেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬টি থানার দৃশ্য অনেকটাই পালটে গেছে। রিমোট মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬টি থানা।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনসহ নানামুখী দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশকে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মামলা নেওয়া, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তা, ভিআইপি নিরাপত্তা ও প্রটোকল দিতে হয় এই বাহিনীকে।
এক সময় পুলিশ সদর দপ্তর, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), সারদা পুলিশ একাডেমিসহ কয়েকটি ট্রেনিং সেন্টার, বিভাগ, মহানগর, জেলা ও থানা ইউনিট ছাড়া আর কোনো ইউনিট ছিল না পুলিশে। বর্তমানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও ট্রাফিকসহ অনেকগুলো বড় ইউনিট রয়েছে পুলিশ বাহিনীতে। এছাড়া রয়েছে নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ট্যুরিস্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও স্পেশাল পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)।
মানুষকে তাৎক্ষণিক সেবা দিতে করা হয়েছে ‘৯৯৯’ নামের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস। পুলিশ সদর দপ্তরসহ প্রত্যেকটি ইউনিটে ফেসবুক পেইজ খুলে সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করছে পুলিশ।