নির্বাচনের আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছানোর লক্ষ্য সরকারের
- আপডেট সময় : ০৭:৩০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের আগে নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই বিতরণ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা
আমিনুল হক ভূইয়া, ঢাকা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য বই বিতরণের প্রস্তুতি চলমান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে সারাদেশে নতুন বই সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রমনা থানা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নতুন বই বিভিন্ন উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব প্রান্তে বই পৌঁছে যাবে। এরপর নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হবে এবং আরও এক সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় বই বিতরণের কাজ এগিয়ে রাখছে। সরকারের লক্ষ্য, নির্বাচনের আগে নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই বিতরণ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা। অতীতের মতো বিতরণ জটিলতা এড়াতে এবার আগেভাগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার রোববার সুনামগঞ্জে এক সেমিনারে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের পাঠ্যবই পৌঁছে যাবে। নির্বাচনের কারণে বই বিতরণে কোনো বাধা আসবে না। বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে কাজ চলছে পরিকল্পিতভাবে।
তিনি জানান, উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি কমবে ও শেখার পরিবেশ উন্নত হবে।
মুখস্থ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া প্রকৃত শিক্ষা নয়। শিক্ষাকে হতে হবে বুঝে শেখার, চিন্তা-ভাবনা ও সৃজনশীলতার। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করছে, যেখানে প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা, শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চরিত্র গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন বই, নতুন শিক্ষক ও আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা নতুন গতি পাবে। আমাদের শিশুরাই হবে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার চালিকাশক্তি।
















