কোরবাণীর পশুর হাটে মানুষের চাপে উদাও স্বাস্থ্যবিধি!

- আপডেট সময় : ১২:৫৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
কোরবাণীর পশুর হাটে ক্রেতাবিক্রেতার মানুষের চাপে উধাও স্বাস্থ্যবিধি! পশুরু হাটে যে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সম্ভব নয়, সেই আশঙ্কা বার্তা আগেই দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কিছুতেই রক্ষা করা যায়নি মানুষের অবাদ চলাচল। গত ঈদযাত্রার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, ঈদের পর সংক্রমণ বাড়বেই না, তা গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে যাবে! অবশেষে
তাই হয়েছে। বর্তমানে তৃনমূলপর্যায়ে করোনার প্রাদুর্ভাভ ছড়িয়ে পড়েছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা স্বাস্থ্যবিভাগ।
গেলবারের চেয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। একারণে গাদাগাদি করে চলাচল তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। তারপরও ফেরিঘাটে মানুষের স্বাস্থ্য না মানার প্রতিযোগিতা ছিল।

তবে, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মান্যতা খুবই কম। হাটকর্তৃপক্ষের তরফে বার বার স্বাস্থ্যমেনে মাস্ক ব্যবহারের জন্য মাইকিং করার পর মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে।
কোরবাণীর ঈদ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উৎসব, তেমনই ঈদকে ঘিরে প্রচুর মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড যথেষ্ট মজবুত হয়। করোনার থাবায় হাসিনা প্রশাসন লকডাউন জারি করলেও ঈদের কারণে সেই বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে ২৩ তারিখ পর্যন্ত।
বাস-লঞ্চ ভিড়ে ঠাসা গণপরিবহনের ছবিটা সবক্ষেত্রেই এক। প্রত্যেকেই ফিরছেন বাড়ি। আর তাতেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেল। উধাও স্বাস্থ্যবিধি, উধাও দূরত্ববিধি। বাস টার্মিনালে
যেমন দেখা গেল লাইন, তেমনই ঢাকার রাস্তায় নজর পড়ল তীব্র যানজটের। এই সময়েই আবার বাড়তি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যাত্রীরা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে যে লকডাউন শুরু হবে তা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। বন্ধ থাকবে সব ধরণের সরকারি-
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঈদের খুশিতে যেভাবে মানুষজনের ঢল নেমেছে গোটা দেশে, তাতে শেষমেশ এই উৎসবই কান্নার পূর্বাভাস হয়ে দাঁড়াবে নাতো?
এদিকে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত ৪৬টি শর্তের অধিকাংশই মানা হচ্ছে না। কোথাও কোথাও কিছুটা তদারকি দেখা গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। এ অবস্থায় সচেতন ব্যক্তিরা হাটে পশু কিনতে গিয়েও স্বাস্থ্যবিধি না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। পশুর দরদাম নিয়ে রয়েছে
মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ ক্রেতাই নির্দিষ্ট দামের চেয়ে অনেক কম দাম বলছেন। আর ক্রেতারা বলছেন, হাটের শুরু থেকেই দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতা। দাম বেশি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি গরু কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু। তারপরও বেশি দামের অভিযোগ। ঝিনাইদহের হরিণাকণ্ডু থেকে আসা ব্যাপারী বিপ্লব জানালেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতারা গরুর দাম কম
বলছেন। এখন পর্যন্ত বড় গরুর ক্রেতাই আসেনি। তবে ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হলেও সেগুলোও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ভাষায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত পশুর হাট সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের মনিটরিং টিমের ১৩ জন কাউন্সিলর এবং দুই জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি
পশুর হাটেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।