হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক যুগের অগ্নিকাণ্ড

- আপডেট সময় : ০৬:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড নতুন ঘটনা নয়। গত এক যুগে বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে, যার বেশিরভাগই কার্গো বা অফিস এলাকাকে ঘিরে।
এবারের অগ্নিকাণ্ডটি আগের সবগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ভয়াবহ। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে বারবার আগুন লাগার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, বারবার এমন আগুন লাগা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, এটি দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের অংশ।
তিনি তদন্ত কমিটির নাটক না করে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানান।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে লাগা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীও।

বিমানবন্দরটির নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানিয়েছেন, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নেভাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল মাসে কার্গো সেকশনের কুরিয়ার সার্ভিস অংশে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মাসে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তার দফতরে বৈদ্যুতিক ত্রুটিজনিত আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে নিভিয়ে ফেলায় বড় ক্ষতি হয়নি।
২০১৭ সালের ১১ আগস্ট মূল ভবনের ২নং টার্মিনালের তৃতীয় তলায় এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এটি ছিল সীমিত পরিসরের অগ্নিকাণ্ড।
২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ১নং টার্মিনালের ইমিগ্রেশন বিভাগের দোতলায় আগুন লাগে। তবে আগুনের তীব্রতা ছড়ায়নি।
২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে দুটি তেলবাহী ট্যাংক লরি আগুনে পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ফোম ব্যবহার করে ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।