সেপ্টেম্বরেই দোজাহারি-কক্সবাজার লাইনে ট্রেনের হুইসেল বাজবে : রেলপথ মন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
মঙ্গলবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন : ছবি রেলপথ মন্ত্রক
কাজের অগ্রতি পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন
আমিনুল হক, ঢাকা
মুক্তো বুকে বিশাল আকৃতির নয়নাভিরাম এক স্থাপনা। এটি বাংলাদেশের গর্ব। যেটি মাথা উঁচু করে দু’বাহু বাড়িয়ে জানান দিচ্ছে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রকের সফলতা। নান্দনিক ‘আইকনিক’ রেলস্টেশনটির অবস্থান পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ঐতিহাসিক রামুতে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মালিক লালসবুজে খজিত পতাকার বাংলাদেশ। শান্তি আর সমৃদ্ধির অঙ্গিকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উদীয়মান অর্থনীতির বাংলাদেশ। একের পর এক দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার বাংলাদেশ। সুবিশাল সমুদ্র সৈকতের পাজরঘেষে কক্সবাজার বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ চলছে জোর কদমে।
তার সঙ্গেই এশিয়ার নান্দনিক আরেক স্থাপনার নাম আইকনিক রেলস্টেশন। দুয়ে মিলে কর্মযজ্ঞ চলছে। এখানে দিন-রাত এক করে কর্মীর হাত সচল রয়েছে। কারণ হাতে সময় নেই। প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌছাতে বিশাসবহুল কোচ সার্ভিস থাকলেও সময় লাগছে ১২ ঘন্টার মত।

পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার ভ্রমণে সেপ্টেম্বরেই দুয়ার খুলতে যাচ্ছে এই রেলপথের। তখন ঢাকা থেকে মাত্র ৮ ঘন্টায় পৌছে যাওয়া যাবে কক্সবাজার। স্বাচ্ছন্দে বিশাস বহুল ট্রেন যাত্রা। সঙ্গে বাংলার নানা পদের খাবার। একবার ভাবুনতো! জিবে জল আনা এই আয়োজনের পুরোহিত বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আইকনি রেলস্টেশন এবং রেলথ নির্মাণ কাজের আগ্রগতি দেখতে মঙ্গলবার কক্সবাজারে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রকের সফল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মি. সুজন রেলওয়ের উন্নয়নে বিরামহীন কাজ করে চলেছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে জনবান্ধব পরিবহনের লক্ষ্যে আলাদা মন্ত্রক করেছেন। আমরা তার উন্নয়নে এবং সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি মাত্র।

মঙ্গলবার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে প্রথমে আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন দেখেন মন্ত্রী। সেমসয় তাকে খুবই গর্বিত এবঙ উৎফল্ল মনে হচ্ছিল। এরপর পা বাড়ান রামু স্টেশনে। সেখানে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে চকরিয়ার ডুলহাজায় রেললাইন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
রেলমন্ত্রী ভাষায়, ‘কক্সবাজারের ঝিংলজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়াস্থ নির্মাণাধীন ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলস্টেশনটি অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও দৃষ্টি নন্দন। যার নিমার্ণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এটি কেবল কক্সবাজারে গর্ব নয়, বাংলাদেশের গর্বও বটে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে রেলপথ নির্মাণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই জোর কদমে কাজ এগিয়ে চলছে। বিদেশ থেকে আনা উপকরণ মজুদ রয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সেপ্টেম্বরেই দোজাহারি-কক্সবাজর লাইনে ট্রেনের হুইসেল বাজবে।


















