ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুর-ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় মদ ও চোরাচালানী মাল জব্দ ২৬-এর ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পরীক্ষা বন্ধ রাখলে শিক্ষকদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষায় বিজিবির মানবিক উদ্যোগ খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের  বিশেষ বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ আসছেন: ডা. জাহিদ হোসেন সমুদ্র বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই বাড়াতে হবে বৈশ্বিক সহযোগিতা:মৎস্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু, পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগে বিতর্ক ভারতের প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বিএনপি খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি

সমুদ্র বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই বাড়াতে হবে বৈশ্বিক সহযোগিতা:মৎস্য উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্র বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই বাড়াতে হবে বৈশ্বিক সহযোগিতা:মৎস্য উপদেষ্টা

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলবায়ু পরিবর্তন ও অবৈধ, অপ্রকাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত (আইইউইউ) মাছ ধরার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক সমস্যাগুলো কোনো একক দেশের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়; সমুদ্রসীমা সুরক্ষা ও টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য যৌথ পদক্ষেপ জরুরি।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস আয়োজিত মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ব্লু ইনোভেশনস: সেইফগার্ডিং ওশান হারমনি’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে টেকসই লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্বশীল আহরণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর সুশাসন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। ব্লু ইকোনমিকে জাতীয় অগ্রাধিকার দেওয়ায় বিজ্ঞান–নীতি-সমাজ-এই তিন স্তরের সমন্বয়ে একটি টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ড. ফ্রিটজফ নানসেন কর্মসূচির ২০২৫ সালের সামুদ্রিক জরিপের তথ্য তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, গত সাত বছরে ছোট পেলাজিক মাছের মজুদ ১,৫৮,০০০ টন থেকে কমে ৩৩,৮১১ টনে নেমে এসেছে—হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৭৮.৬ শতাংশ। বড় শিকারী মাছ কমে যাওয়ায় জেলিফিশের আধিক্য দ্রুত বাড়ছে, যা সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক সংকেত। এসব পরিস্থিতি ইকোসিস্টেমে জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের দক্ষ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ তথ্য নীতিনির্ধারণে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ইকোসিস্টেম সুরক্ষা, সমুদ্রভিত্তিক পরিকল্পনা এবং জলবায়ু–সহনশীল মৎস্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।

ইলিশকে জাতীয় ও বৈশ্বিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষে থাকলেও এই সম্পদ এখন ঝুঁকির মুখে। সাগরের প্রতিটি স্তরে ইলিশ সংরক্ষণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্লেনারি সেশনে গ্লোবাল ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ, অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের প্রফেসর ড. পিয়ের ফাইলার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের পরিচালক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সমুদ্র বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই বাড়াতে হবে বৈশ্বিক সহযোগিতা:মৎস্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০১:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

জলবায়ু পরিবর্তন ও অবৈধ, অপ্রকাশিত ও অনিয়ন্ত্রিত (আইইউইউ) মাছ ধরার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক সমস্যাগুলো কোনো একক দেশের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়; সমুদ্রসীমা সুরক্ষা ও টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য যৌথ পদক্ষেপ জরুরি।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস আয়োজিত মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ব্লু ইনোভেশনস: সেইফগার্ডিং ওশান হারমনি’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে টেকসই লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্বশীল আহরণ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর সুশাসন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। ব্লু ইকোনমিকে জাতীয় অগ্রাধিকার দেওয়ায় বিজ্ঞান–নীতি-সমাজ-এই তিন স্তরের সমন্বয়ে একটি টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ড. ফ্রিটজফ নানসেন কর্মসূচির ২০২৫ সালের সামুদ্রিক জরিপের তথ্য তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, গত সাত বছরে ছোট পেলাজিক মাছের মজুদ ১,৫৮,০০০ টন থেকে কমে ৩৩,৮১১ টনে নেমে এসেছে—হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৭৮.৬ শতাংশ। বড় শিকারী মাছ কমে যাওয়ায় জেলিফিশের আধিক্য দ্রুত বাড়ছে, যা সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক সংকেত। এসব পরিস্থিতি ইকোসিস্টেমে জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের দক্ষ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ তথ্য নীতিনির্ধারণে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ইকোসিস্টেম সুরক্ষা, সমুদ্রভিত্তিক পরিকল্পনা এবং জলবায়ু–সহনশীল মৎস্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।

ইলিশকে জাতীয় ও বৈশ্বিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষে থাকলেও এই সম্পদ এখন ঝুঁকির মুখে। সাগরের প্রতিটি স্তরে ইলিশ সংরক্ষণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্লেনারি সেশনে গ্লোবাল ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ, অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের প্রফেসর ড. পিয়ের ফাইলার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের পরিচালক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।