শ্রমিক বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : স্পিকার
- আপডেট সময় : ০৮:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
শ্রমিক মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি
অনলাইন ডেস্ক
শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, শ্রমিকরা উন্নয়নের প্রাণ। মে দিবসের আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ আয়োজনে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শ্রমিক মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ওষুধ, নির্মাণ ও চা শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার মাধ্যমে শ্রমিকরা জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি স্মার্ট বাংলাদেশের ভীত রচনা করতে পারে। সংবেদনশীল মনোভাব নিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান স্পিকার।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অসীম কুমার উকিল এমপি, মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭২ সালে তিনি শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে আইএলওর সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু সংবিধানে কৃষক-শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত ও সকল প্রকার শোষণ হতে মুক্তির অঙ্গীকারের পাশাপাশি পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার সংরক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২০৪১সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়িয়ে শ্রমিকদের সুদক্ষ করতে পারলে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অধিকতর ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সরকার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে।
শ্রমজীবী মানুষের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার শ্রম সংশোধন আইন ২০১৮ সহ সকল প্রকার আইন প্রয়োজনীয় সংশোধন ও প্রণয়ন করেছে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল গঠন করে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মালিক-শ্রমিক সম্প্রীতি বজায় রাখার পথ সুগম করা হয়েছে। শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসা ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ স্কিম চালু রয়েছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের জন্য বহুতল শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।



















