মর্গে তরুণীর মরদেহ ধর্ষণ, আদালতে ডোমের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

- আপডেট সময় : ০৬:৫২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগে ডোম আবু সাঈদকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে।
গ্রেপ্তার আবু সাঈদ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন ও শিরিনা আক্তারের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে মর্গে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃতদেহে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়, তরুণীর মরদেহে ধর্ষণের আলামত রয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এন এম আল মামুন বলেন, মরদেহে স্পষ্ট ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ডোম আবু সাঈদকে আটক করে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে হালুয়াঘাটের একটি গ্রাম থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া তরুণীর আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল পুলিশ ও পরিবার। কিন্তু মর্গে তার মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে ময়মনসিংহ জুড়ে।