উপকূলের আড়ত ও মাছঘাটে ডিমওয়ালা ইলিশের আমদানি
- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
আমিনুল হক ভূইয়া, ঢাকা
ভর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতে থেকেই মেঘনা ও পদ্মায় নেমেছেন জেলেরা। অনেক জেলে চলে যান সাগরে। নদীতে এখন ইলিশের প্রাচুর্য, আড়ত ও মাছঘাটেও জমেছে বেচাকেনা। তবে উদ্বেগের বিষয় বাজারে ওঠা অধিকাংশ ইলিশই ডিমওয়ালা। স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এতসংখ্যক ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়লে ভবিষ্যতে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, পটুয়াখালীসহ উপকূলের মাছঘাটগুলোতে ইলিশের আমদানি চোখে পড়ার মতো। তবে, বাজারে আসা ইলিশের মধ্যে ডিমওয়ালা ইলিশের সংখ্যা মন্দ নয়।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর বাজারের মাছ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র জানান, সোমবার বাজারে প্রায় ২০ মণ ইলিশ এসেছে। ছোট ও মাঝারি আকারের মাছই বেশি, আর অধিকাংশই ডিমওয়ালা। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়, মাঝারি আকারের ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় এবং ছোট ইলিশ ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৩০০–৫০০ টাকা।

ক্রেতা-বিক্রেতারা ইলিশের প্রাচুর্যে খুশি হলেও স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁদের প্রশ্ন, অভিযানে সফলতা এলে এত ডিমওয়ালা ইলিশ বাজারে আসার কথা নয়। মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বাজার থেকে ডিমওয়ালা ইলিশ সংগ্রহে মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। তবু এত ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়া উদ্বেগজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।


















