উচ্চ মাধ্যমিকের ফর প্রকাশ, পাসের হার এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

- আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
জিপিএ–৫ পেয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ জন
দেশের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হারে বড় ধস নেমেছে। ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড়ে পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
এর আগে ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ পয়েন্ট এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ কার্যালয়ে ফল প্রকাশ করেন। বরাবরের মতোই ফল জানা যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে।
শিক্ষাবিদদের মতে, কোভিড-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার অস্থিরতা, অসম্পূর্ণ সিলেবাস, শিক্ষকদের ঘাটতি এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা শিক্ষার্থীদের ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪ সালের পরীক্ষায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সরকারের পতনের পর সাতটি বিষয় ছাড়া বাকিগুলোর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে এসএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে “সাবজেক্ট ম্যাপিং” করে ফল নির্ধারণ করা হয়।
পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় এবারকার ফলাফলের এই পতন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক ইঙ্গিত। ২০২১ ও ২০২২ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষায় পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৯৫ দশমিক ২৬ ও ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে মহামারীর আগে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত পাঠদান ও পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিল। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর মূল্যায়ন এবং পরীক্ষার অনিয়ম শিক্ষার্থীদের ফলাফলেও প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা সংস্কার ছাড়া এই ধস থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে।