public transport : অবশেষে ওঠছে ওয়ে বিল, চেকার খড়গ
- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২ ২৭৩ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ঢাকা মহনগরের অধিকাংশ গণপরিবহনের চেহারা দেখলে সেখানে ওঠার ইচ্ছে না। তারপরও উপায়হীন নাগরিক সেই লক্কঝক্কর বাসেই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। তেল চিটচিটে বাসের সিট কভার। তাই যত ফ্যাশান বাস মালিকদের। এসব বাসে যাত্রী সংখ্যা কত, চালকের সহযোগিরা ভাড়া করে ঠিক মত হিসেব দিচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ওয়েল বিল াার চেকার রয়েছে। অথচ এসব চেকাররা যাত্রী দেখে ওয়েল বিলে সই করে নেমে যাবার সময় উৎকোচ নিয়ে নেমে পড়েন। বাসের মালিক সর্ষে চাষে ভূত লালনপালন করেন।
এবারে এসব প্রথা বাতিল করলো স্বয়ং মালিক পক্ষ। তাদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বুধবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলেন, এক স্টপেজ থেকে বাস ছেড়ে পরের স্টপেজ পর্যন্ত দরজা বন্ধ তাকবে। ঢাকার বিভিন্ন রুটের বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়ে মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসব গাড়িতে এখন থেকে ‘ওয়ে বিল’ প্রচলন বন্ধ থাকবে এবং ‘চেকার’ প্রথাও বিলুপ্ত করা হবে।
বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আট মাসের মধ্যে গত শনিবার ডিজেলসহ চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ডিজেলের দাম সাড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সেদিন রাতেই নতুন হারে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও রবিবার থেকে রাজধানীর বাসগুলোতে অনেক বেশি হারে ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ আসে। লাগাম টানতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে মোবাইল কোর্ট মাঠে নামে।
উল্লেখ্য, ‘ওয়ে বিল’ ও ‘চেকার’ প্রথার নামে স্বল্প দূরত্বেও অনেক বেশি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাস কর্মীদের বচসার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে রাজধানীর গণপরিবহনে আলোচিত ওয়ে বিল প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বাস মালিক সমিতি।
দীর্ঘদিন থেকে বাসগুলো সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মালিকদের নির্ধারণ করা নির্দিষ্ট স্থান পরপর ‘চেক পয়েন্ট’ অনুসারে ভাড়া আদায় করে আসছিলো।






















