HILSA: শেষ মৌসুমে সাগরে ধরা পড়ছে কাড়িকাড়ি ইলিশ

- আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
সাগরে ধরা পড়ছে কাড়িকাড়ি ইলিশ : ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
এবারে ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশে ভর মৌসুমে ইলিশের খরা ছিল। দাম ছিল আকাশচুম্বি। জলবায়ু সংকটের প্রভাবে বৃষ্টিহীন মৌসুমের একটা লম্বা সময়। একারণে মাছ ধরা পড়ার অনুকুল পরিবেশ ছিল না। গত কিছু দিন সাগরে নিম্ন চাপের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। মেঘলা আকাশ, সেই সঙ্গে টিপ টিপ বৃষ্টি ইলিশ ধরার উযুক্ত মৌসুম। একারণে গত কয়েকদিন সাগরে কাড়িকাড়ি ইলিশ ধরা পড়ছে।
সেই অর্থে দাম যে একেবারে তলানীতে তা বলা যাবে না।
শেষ মৌসুমে এসে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে দাম কিছুটা কমলেও ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশে সকল মানুষের পাতে ইলিশ ওঠেনি। গত দুই থেকে তিন দিন সাগর থেকে কাড়িকাড়ি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে এক একটি ট্রলার। কিন্তু তাতে করে মহাজনের দায়দেনা পরিশোধ হবে না।

আগামী ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ প্রজনন মৌসুম। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রক এরই মধ্যে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই ক্ষেত্রে কয়েকদিন দিন বেশি মাছ পেলেও মৎস্যজীবীদের মাঝে তেমন একটা সন্তুষ্টি নেই। জানা গিয়েছে, মৎস্যজীবীদের দাদনে টাকা দিয়ে থাকেন আড়ৎদার মহাজনরা। তাদের দাদনের টাকা মাছ ধরে পরিশোধ করতে হয়। দক্ষিণ জনপদ বিশেষ করে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ইত্যাদি এলাকায় দাদনের প্রচলন রয়েছে।
বাংলাদেশের ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, গভীর জলের মাছ ইলিশ। এরা সব সময় দলবদ্ধ চলাচল করে। কখন যে কোন দিকে তাদের দল ছুটবে, তা বলা মুশকিল। একারণে একস্থানে মাছ ধরা পড়লেও অন্যস্থানে তেমন ধরা পড়ছে না। একারণে মাছের অকাল বলা যাবেনা। দামের বিষয়টি নির্ভর করে আমদানির ওপর। বাজারে মাছ কম থাকলে দাম উর্ধমুখী, আবার আমদানি বেড়ে গেলে দাম নিম্নমুখী। এটাই স্বাভাবিক।
পরিবেশ বিজ্ঞানিদের মতে এবারে অনুকুল পরিবেশের অভাব ছিল। যে কারণে মাছ কম মিলেছে। জলবায়ু সংকট এক্ষেত্রে বড় বাধা। যখন ইলিশের মৌসুম ঠিক তখন বৃষ্টিহীন কেটেছে একটা লম্বা সময়। এসব প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত হচ্ছে। কেবল ইলিশ মাছ নয়, অন্যান্য মাছও কিন্তু যোগান কমছে। এসব বিষয়ে সময় থাকতে সচেতনতার পাশাপাশি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।