disaster : দুর্যোগে জীবন রক্ষায় বিশ্বের অর্ধেক দেশে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নেই: জাতিসংঘ

- আপডেট সময় : ০৭:০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২ ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানে বন্যা ছবি: ফাইল ছবি সংগ্রহ
ফুঁসে ওঠছে জলবায়ু সংকট
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চরমরূপ নিচ্ছে জলবায়ু সংকট। বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও বেড়েছে। সংকটময় সময়ে শঙ্কা জাগানিয়া বার্তা আসলো রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। বিশ্ব সংস্থার মতে, দুর্যোগের পূর্বাভাস তথা আগাম সতর্কতা জানানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই বিশ্বের অর্ধেক দেশের।
বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কতা পেতে যেসব দেশের ব্যবস্থা দুর্বল, সেগুলোর সঙ্গে উন্নত ব্যবস্থা থাকা দেশগুলোর তুলনা করা হয়েছে। দেখা গেছে, দুর্বল ব্যবস্থা থাকা দেশগুলোয় দুর্যোগে মৃত্যুর পরিমাণ গড়ে আট গুণ বেশি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে! তবে সেগুলো যে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে, এমন কোনো কথা নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপর্যয় ঠেকাতে বহুমুখী দুর্যোগের বিষয়ে আগাম সতর্কতা দিতে পারে, এমন ব্যবস্থা সব দেশের কাছে থাকা উচিত।
সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের অর্ধেকের কম স্বল্পোন্নত দেশের হাতে বহুমুখী দুর্যোগের বিষয়ে আগাম সতর্কতা দিতে পারে, এমন ব্যবস্থা রয়েছে। আর ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দুর্যোগ পূর্বাভাসের এ ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করা রাষ্ট্রপুঞ্জের ইউএনডিআরআরের প্রধান মামি মিজুতোরি বলেছেন, জীবন, জীবিকা ও সম্পদ রক্ষায় জরুরিভাবে অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদন বলছে, ২০০৫-২০১৪ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছিল প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ১ হাজার ১৪৭ জন। এ সংখ্যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১২-২০২১ সাল পর্যন্ত দুর্যোগের শিকার হয়েছে প্রতি ১ লাখে ২ হাজার ৬৬ জন।
একই সময়ে দুর্যোগের কারণে মৃত্যু ও নিখোঁজের সংখ্যা কমেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৫-২০১৪ সালের মধ্যে এ সংখ্যা প্রতি ১ লাখে ১ দশমিক ৭৭ জন ছিল। অপর দিকে ২০১২-২০২১ সালে তা কমে শূন্য দশমিক ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্যোগে আগাম সতর্কতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার দিকে ইঙ্গিত করেন মামি মিজুতোরি। ওই বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়, মৃত্যু হয় প্রায় ১ হাজার ৭০০ জনের। মিজুতোরি বলেন, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকলে মৃত্যু আরও বেশি হতে পারত।
পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের সব দেশের কাছে যেন আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা থাকে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে একটি পরিকল্পনা তুলে ধরবে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে।