ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি ডেঙ্গুতে অক্টোবরে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল, চলতি বছরে প্রাণহানি ২৪৯ ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিলো তেহরান, পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিছক কল্পনা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটসহ ৬ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ জিটুজির নামে সার আমদানির নামে কোটি কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে টাইগ্রেসরা ফ্রি ভিসা প্রতারণায় ক্ষতি ৩০ হাজার কোটি টাকা, অভিবাসন খাতে অনৈতিক নিয়োগ ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: কর্মকর্তাদের আর্চারিতে  চ্যাম্পিয়ন  কিবরিয়া গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আমেরিকা জুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ ঝড় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৩০০ বাংলাদেশি

যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ এক দশকের গবেষণার পর অবশেষে বিজ্ঞানীরা কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন। কানাডা ও চীনের গবেষকরা যৌথভাবে এমন এক ধরনের কিডনি তৈরি করেছেন, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হতে পারে। এই ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের দীর্ঘ অপেক্ষার সময় অনেকটাই কমে যাবে এবং অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রযুক্তিতে বিশেষ কিছু এনজাইম ব্যবহার করে কিডনি থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ধারক অ্যান্টিজেন সরিয়ে ফেলা যায়। সাধারণত রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে লাল রক্তকণিকার গায়ে থাকা অ্যান্টিজেন নামের বিশেষ চিহ্নের উপর। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভিন্ন রক্তের অ্যান্টিজেন শনাক্ত করলেই সেটিকে আক্রমণ করে, যার ফলে ভিন্ন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

নতুন এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা এনজাইমকে অণু-স্তরের ‘কাঁচি’র মতো ব্যবহার করেছেন, যা টাইপ A রক্তের কিডনি থেকে অ্যান্টিজেন কেটে সরিয়ে দেয়। এতে কিডনিটি টাইপ O রক্তের মতো হয়ে যায়—যা সবার শরীরে মানিয়ে নিতে সক্ষম।

যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি
যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি

যদিও পরীক্ষামূলকভাবে এই কিডনি একজন মস্তিষ্ক-মৃত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং তৃতীয় দিনে কিছু অ্যান্টিজেন পুনরায় তৈরি হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে, তবে শরীরের প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই সীমিত। গবেষকরা বলছেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন রোগী কিডনি না পেয়ে মারা যান, যাদের বেশিরভাগই টাইপ O কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। তাই বিজ্ঞানীদের আশা, এই ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ প্রযুক্তি সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জগতে এটি হবে এক নতুন যুগের সূচনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘ এক দশকের গবেষণার পর অবশেষে বিজ্ঞানীরা কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন। কানাডা ও চীনের গবেষকরা যৌথভাবে এমন এক ধরনের কিডনি তৈরি করেছেন, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হতে পারে। এই ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের দীর্ঘ অপেক্ষার সময় অনেকটাই কমে যাবে এবং অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রযুক্তিতে বিশেষ কিছু এনজাইম ব্যবহার করে কিডনি থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ধারক অ্যান্টিজেন সরিয়ে ফেলা যায়। সাধারণত রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে লাল রক্তকণিকার গায়ে থাকা অ্যান্টিজেন নামের বিশেষ চিহ্নের উপর। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভিন্ন রক্তের অ্যান্টিজেন শনাক্ত করলেই সেটিকে আক্রমণ করে, যার ফলে ভিন্ন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

নতুন এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা এনজাইমকে অণু-স্তরের ‘কাঁচি’র মতো ব্যবহার করেছেন, যা টাইপ A রক্তের কিডনি থেকে অ্যান্টিজেন কেটে সরিয়ে দেয়। এতে কিডনিটি টাইপ O রক্তের মতো হয়ে যায়—যা সবার শরীরে মানিয়ে নিতে সক্ষম।

যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি
যেকোনো রক্তের গ্রুপে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিভার্সাল কিডনি

যদিও পরীক্ষামূলকভাবে এই কিডনি একজন মস্তিষ্ক-মৃত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং তৃতীয় দিনে কিছু অ্যান্টিজেন পুনরায় তৈরি হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে, তবে শরীরের প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই সীমিত। গবেষকরা বলছেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন রোগী কিডনি না পেয়ে মারা যান, যাদের বেশিরভাগই টাইপ O কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। তাই বিজ্ঞানীদের আশা, এই ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ প্রযুক্তি সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জগতে এটি হবে এক নতুন যুগের সূচনা।