লাইফ সাপোর্টে প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য

- আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
ঐক্য ন্যাপ সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য গুরুতর অসুস্থ। ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের ভায়রা ডা. মানস বসু শনিবার এতথ্য জানান, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি ডা. কামরুল হুদার অধীনে চিকিৎসাধীন। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের উপমহাদেশের অন্যতম সশস্ত্র বিপ্লবী মাষ্টার দা সূর্য সেন ব্রিটিশ রাজের ফাঁসিকাষ্ঠে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি।
চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় বাড়ির পশ্চিম পাশের আঙ্গিনায় মহান বিপ্লবীর প্রতীকি সমাধি। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি একটি বকুল গাছের চারা রোপন এবং মাস্টার দা সূর্যসেন লাইব্রেরীর উদ্বোধন করেন।
সেই নোয়াপাড়ায় মাস্টার দার আত্মহুতির পাঁচ বছর পর ১৯৩৯ সালে সোনাপড়া গ্রামেই জন্ম পঙ্কজ ভট্টাচার্যের। তখন সূর্য সেনের আলোই তরুণ প্রজন্মের চেতনার আলো। তার ধানমণ্ডির বাসায় গত বছরের শেষ লাগ্নে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তার নাকে নল লাগানো ছিল। তারপরও দরাজ গলায় কথা বলছিলেন। সেদিন স্মৃতির জানালা খুলে দিয়েছিলেন পঙ্কজ বাবু। ৬ ফুটের ওপরে লম্বা এবং চওড়া বুকের অধিকারী মানুষটি জানালেন, বাল্যবেলায় বড়দের সঙ্গে যখন পুজোর মেলায় যেতেন তখন মেলা থেকে কিনে আনতে মাটি দিয়ে বানানো সূর্য সেন এর মূর্তি।
সূর্য সেন তখন ঘরে বাইরে মননে মজ্জায় দাগ কাটছে মুক্তিপ্রাণ প্রতিটি মানুষের। একেবারে বাল্যবেলায় হৃদয়ে সূর্যসেনের বিপ্লব গেঁথেই জীবন শুরু করলেন পঙ্কজ বাবু। লেখাপড়া শুরু সূর্যসেনের বাল্যবেলার স্কুল নোয়াপাড়ার দয়াময়ী স্কুলে। শিক্ষাব্রতী পিতা প্রফুল্লকুমার ভট্টাচার্য আর স্বদেশী আন্দোলনের নেতাদের এক আশ্রয়স্থল মনিকুন্তলা দেবীর সন্তান হিসেবে তার বাল্যবেলার সমস্ত শিক্ষার মধ্যেই ছিল প্রকৃত জীবনবোধ, দেশাত্ববোধ আর মানবিকতা। বাহ্যিক ধন সম্পদ ও বিত্তের চর্চা গোটা পরিবারটিতেই ছিল না। ছিল আদর্শের বৈভব আর নৈতিকতার চর্চা। ছিল ইংরেজ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গভীর এক প্রতিবাদী চেতনা।