বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দুয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর : শাহ নোওয়াজ শানু

- আপডেট সময় : ০৯:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বময় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে। আমদানি নির্ভর একটি দেশ আজ রপ্তানি বাণিজ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দিনকে দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশি
ভারতেও রপ্তাণিজ্য বেড়েছে। রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোল এখন ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। এ যেন বাংলাদেশের সফল
মাইল ফলক। পাশাপাশি উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও বাংলাদেশের রপ্তাণিজ্য বেড়ে চলেছে। এপথে আমদানির মধ্যে চাল-গম রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের অন্যতম স্থলবন্দর আখাউড়া। দিন দিন এর ব্যস্ততা বাড়ছে। আগামীতে এই স্থলবন্দরটি দেশের একটি ব্যস্ততম স্থল বন্দরে পরিণত হবে।
আখাউড়ার অন্যতম ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও সমাজ সেবক শাহ নোওয়াজ মিয়া (শানু) জানালেন এই সম্ভবনার কথা। এই ব্যবসায়ী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে জাতি। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ করে

রপ্তাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চাই। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনা হাত ধরে। আমরাও উন্নয়নের নেত্রীর অনুপ্রেরণায় আন্তর্জাতিকভাবে রপ্তানি
বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করে চলেছি। আগামীতে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতে রপ্তানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেন এই ব্যবসায়ী।
শাহ নোওয়াজ মিয়া জানালেন, উত্তরপূর্ব ভারতের গেটওয়ে ত্রিপুরা। বাংলাদেশের পাঁজরঘেষা এই রাজ্যটি মুক্তযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম আশ্রয়স্থ হিসেবে চিহ্নিত। এবারে দু’দেশের তথা উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের যে স্বর্ণদুয়ার উঁকি দিচ্ছে, তা এই
ত্রিপুরাকে ব্যবহার করেই পৌঁছে যাবে আসামসহ উত্তরের রাজ্যগুলোতে। ত্রিপুরার সঙ্গে একাধিক স্থলবন্দর রয়েছে। যার অন্যতম হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা।
ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও সমাজ সেবক শাহ নেওয়াজ মিয়া আরও বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দরটি ব্যবসাবান্ধব। দিন দিন এই বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বর্তমান
বাংলাদেশের আইন ও সংসদস বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের উদ্যোগ এই বন্দরের উন্নয়নে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তাটি চারলেনে উন্নীত করার কাজও শুরু
হয়ে গিয়েছে। আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছি, আমদানির ক্ষেত্রে এই স্থলবন্দরে এসআরও পেয়ে গেলে বন্দরের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে ব্যবসা প্রসারের পাশিপাশি
এখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে করে এই স্থলবন্দর থেকে আগামীতে সরকারের কোষাগারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জমা আসবে।
ব্যবসায়ী শাহ নোওয়াজ বলেন, এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ করে চলেছেন আইনমন্ত্রী তথা স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আনিসুল হক। তার সফল
নেতৃত্বে আগামীতে আখাউড়া স্থলবন্দরের সকল সুযোগ-সুবিধা এবং এলাকার বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন এই বিশ্বাস আমরা লালন করি। কারণ,
আনিসুল হক এমপি এলাকার উন্নয়নে নিবেদীত প্রাণ। এই এলাকায় তার বিকল্প কোন নেতৃত্ব নেই বলেও উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী শাহ নোওয়াজ শানু।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি চারলেনে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে সড়ক ও
জনপথ অধিদফতর বাস্তবায়ন কাজে হাত লাগিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে যৌথভাবে ভারতের রাইটস লিমিডেট এবং
বাংলাদেশের মডার্ন এন্টারপ্রাইজ প্ল্যানারস অ্যান্ড কনসালটেন্স লিমিডেটকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।