51st Independence Day : নেচেগেয়ে ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

- আপডেট সময় : ০৯:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২ ২৩৪ বার পড়া হয়েছে
‘প্রায় করোনামুক্ত বাংলাদেশে ফুরফুরে মেজাজে নেচেগেয়ে ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন’
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
করোনাকলীন টানা দু’বছর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস পার করেছে বাঙালি। কিন্তু এবারে টানা দু’বছর পর করোনার সংক্রমণ বলা যায় হাতের মুঠোয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফুর ফুরে মেজাজে বাঙালির মহামিলন ঘটে সাভারের জাতীয় স্মৃতি সৌধে।
শনিবার প্রতুষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
দীর্ঘ ন’মআসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ, তার ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনটা যে রঙিন হবে এটাই স্বাভাবিক। সাভারে স্মৃতিসৌধে মানুষের সরব উপস্থিতি তারই প্রমাণ। এদিন মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। নেচেগেয়ে আনন্দ-উল্লাসে উদযাপন করেন স্বাধীন দিবসের নানা আয়োজন। তবে না পাওয়ার বেদনাও ছিলো অনেকের মাঝে।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে পা রাখার আগের দিন অর্থাৎ বাংলাদেশ যখন ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করছে, সেই দিন সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে ‘রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে’ দাঁড়িয়ে রুদ্ধ কণ্ঠে রবিউল আলম বলছিলেন, দেখতে পারছেন কত লোকের সমাগম! রাত পোহালেইতো তো স্বাধীনতার ৫১’তে পা দেবে বাংলাদেশ। উদাস দৃষ্টি নামিয়ে চশমা খুলে চোখ মুছে নিয়ে রবিউল বলেন-৭১’র এই রায়েরবাজার বদ্ধভূমি থেকে একে একে ৪৫টি মরদেহ তোলার গল্প। কিন্তু বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সফল প্রশ্ন রবিউলের।

সকালে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। করোনা অতিমারির কারণে দুই বছর স্বাধীনতা দিবস সেভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। এবারে মহামারী পরিস্থিতি একেবারেই নিম্নমুখি। পাল্টে গিয়েছে দৃশ্যপট। স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল। স্মৃতিসৌধে অসংখ্য মানুষের ঢলের অংশ হয়ে আসা অনেকেই বলেন বাংলাদেশ ঘিরে তাদের স্বপ্নের কথা। এদিন ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মিছিলসহকারে জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধে দলে দলে শ্রদ্ধা জানাতে আসে শিক্ষার্থীরাও। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করাতে প্রতি বছরই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে অংশ গ্রহণের জন্য জোর দেন অনেকেই। অনেক শিক্ষার্থীরা জানে না বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস।
মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের জন্য লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। অনেকেই বইয়ের পাতায় তাদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস পড়ে অনুপ্রাণিত হন এবং শ্রদ্ধার জানাতে ছুটে আসেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে সহযোদ্ধাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল রাজনীতিক ওসমান আলী বলেন, যে আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম এবং স্বাধীনতার পর একটা সুন্দর দেশ দেখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুর্নীতি সেখানে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।