রবিবার বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন

- আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪ ২৬৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
উৎকণ্ঠা পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সব ধরনের উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে তিনি সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান
জানান। শনিবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে বিকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং মিডিয়া প্রতিনিধিদের ব্রিফ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জনের নানা কর্মসূচির মধ্যেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনুষ্ঠানে দৃঢ় বিশ্বাসী
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উন্নয়নে দেশটির সাধারণ মানুষ আস্থাশীল।

এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী আন্দোলন ভোট গ্রহণে তেমন কোন জটিলতা দেখছে না বিদেশি পর্যবেক্ষরা। বাংলাদেশের চব্বিশের নির্বাচন ঘিরে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং তারা নির্বাচনকে গভীর ভাবে পর্যক্ষেণ করছে। ভিসা নীতির বিষয়টিও ওঠে আসে কোন পর্যবেক্ষের
প্রশ্নে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবউল আউয়াল অবশ্য খুব স্বাচ্ছন্দ উত্তর দেন এবং বলেন, নির্বাচন
কমিশনার (ইসি) কোন রাজনৈতিক পক্ষ নয়।
পর্যবেক্ষক হিসাবে আসা ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিরী বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের যে পরিবেশ
সৃষ্টি করা তাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোটদান করতে পারবে। তাছাড়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এই উন্নয়নের
ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই শেখ হাসিনাকে মানুষ ভোট দেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিরপেক্ষতার নিরীখে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করাই ইসির কাজ। রাজনৈতিক যে কোন
জটিলতা সংলাপের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পোলিং স্টেশনে যাবার এবং পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান প্রধান
নির্বান কমিশনার। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে চায়।

শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং মিডিয়া প্রতিনিধিদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি
কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, নির্বাচনকে যারা সিলেকশন বলছে, তারা নিজের বোধ থেকে বলছেন। যা কিনা রাজনৈতিক পরিমন্ডলে
থাকবে। আগাম গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ড থাকে না। নির্বাচনকে আমরা সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশের নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে
২৮টি দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। ভোটের মাঠে লড়ছেন ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে শাষকদল আওয়ামী
লীগের ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস
পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচন ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, ওয়াইসি, জাপানসহ ১১টি দেশের অন্তত ২০০ পর্যবেক্ষকের বাংলাদেশে আসে। আর ভোটের খবর
সংগ্রহে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০ জন গণমাধ্যমকর্মীর বাংলাদেশে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত। রবিবার সকাল ৮ থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত
ভোট গ্রহণ চলবে। তবে ভোটারদের উপস্থিত থাকলে ৫-৬টা পর্যন্ত গ্রহণ ভোট চলবে। ভোটকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ডাকা
৪৮ ঘন্টার হরতালের দিনগত রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনাকে অমার্জনীয় অপরাধ বললেন সিইসি।