ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মর্গে তরুণীর মরদেহ ধর্ষণ, আদালতে ডোমের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ পানির নিচ থেকে আড়াই মাস পর ভেসে ওঠলো ঝুলন্ত সেতু হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদদের প্রতি অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল  নেটওয়ার্ক এক্স ২০২৫’-এ তিনটি পুরস্কার অর্জন  হুয়াওয়ে বেনাপোলে কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি ধরা পড়ল ২৫ দিন পর ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন মিথুন অতীতের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান পশ্চিম তীর দখল বিল পাসে বৈশ্বিক নিন্দা: যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি-কাতারের কঠোর অবস্থান পারমাণবিক মহড়ার আগে বাল্টিক আকাশে রুশ বোমারু বিমানের টহল

বেনাপোলে কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি ধরা পড়ল ২৫ দিন পর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোলে কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি ধরা পড়ল ২৫ দিন পর

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কাস্টমসের বিলম্বে জাল নথি তৈরির সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারক

বেনাপোল প্রতিনিধি

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ ২৫ দিন পর অবশেষে ধরা পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি। বুধবার (২২ অক্টোবর) বন্দরের ৪২ নম্বর শেডে দিনব্যাপী পরিদর্শনে মেলে ১০ লাখ ৮০ হাজার পিস ব্লেড ও অতিরিক্ত তিনটি অঘোষিত প্যাকেজ। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হানের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম পণ্য আনলোড ও পরীক্ষা করে এসব পণ্য উদ্ধার করে।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর আশিকুল ইসলাম অ্যান্ড সন্স নামে এক আমদানিকারক ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ‘স্টিল আইটেম অ্যান্ড আদার্স’ ঘোষণায় ৩০ হাজার ৮৩৮ কেজি পণ্য আমদানি করেন। ম্যানিফেস্ট নম্বর ৬০১/২০২৫/০০৩/০০৬১২৪৭/০৯ অনুযায়ী ট্রাকগুলোর নম্বর ছিল ডব্লিউবি ০২সি-৫৯২১, ডব্লিউবি ৩৩ডি-১০২৭ ও ডব্লিউবি ১১সি-৩১৩৩। এ চালানের সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল হুদা ইন্টারন্যাশনাল।

চালানটি বন্দর আসার পরদিনই জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, এতে মিথ্যা ঘোষণায় মূল্যবান পণ্য আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাকগুলো আটক থাকা সত্ত্বেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টানা ২৫ দিন পর পর্যন্ত কোনো পরিদর্শন শুরু করেনি।

বুধবারের পরিদর্শনে দেখা যায়, ঘোষণায় উল্লেখিত স্টিল পণ্যের পাশাপাশি পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৮০ হাজার পিস ব্লেড, যা পূর্বে জমা দেওয়া ডকুমেন্টে দেখানো ৯ লাখ ব্লেডেরও বেশি। স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমসের নীরবতার সুযোগে আমদানিকারকরা পুরনো কাগজ গায়েব করে নতুন জাল নথি তৈরি করেন।

বন্দরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব ঘটিয়ে এই জালিয়াতির সুযোগ করে দিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোলের এই ঘটনা কেবল একটি চালান নয়—এটি কাস্টমস প্রশাসনের ভেতরের অনিয়ম ও দায়হীনতার একটি বড় উদাহরণ, যা সরকারের রাজস্ব নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।

বিষয়টি জানতে সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হান ও কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মাদ আবু হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বেনাপোলে কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি ধরা পড়ল ২৫ দিন পর

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
কাস্টমসের বিলম্বে জাল নথি তৈরির সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারক

বেনাপোল প্রতিনিধি

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ ২৫ দিন পর অবশেষে ধরা পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি। বুধবার (২২ অক্টোবর) বন্দরের ৪২ নম্বর শেডে দিনব্যাপী পরিদর্শনে মেলে ১০ লাখ ৮০ হাজার পিস ব্লেড ও অতিরিক্ত তিনটি অঘোষিত প্যাকেজ। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হানের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম পণ্য আনলোড ও পরীক্ষা করে এসব পণ্য উদ্ধার করে।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর আশিকুল ইসলাম অ্যান্ড সন্স নামে এক আমদানিকারক ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ‘স্টিল আইটেম অ্যান্ড আদার্স’ ঘোষণায় ৩০ হাজার ৮৩৮ কেজি পণ্য আমদানি করেন। ম্যানিফেস্ট নম্বর ৬০১/২০২৫/০০৩/০০৬১২৪৭/০৯ অনুযায়ী ট্রাকগুলোর নম্বর ছিল ডব্লিউবি ০২সি-৫৯২১, ডব্লিউবি ৩৩ডি-১০২৭ ও ডব্লিউবি ১১সি-৩১৩৩। এ চালানের সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল হুদা ইন্টারন্যাশনাল।

চালানটি বন্দর আসার পরদিনই জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, এতে মিথ্যা ঘোষণায় মূল্যবান পণ্য আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাকগুলো আটক থাকা সত্ত্বেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টানা ২৫ দিন পর পর্যন্ত কোনো পরিদর্শন শুরু করেনি।

বুধবারের পরিদর্শনে দেখা যায়, ঘোষণায় উল্লেখিত স্টিল পণ্যের পাশাপাশি পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৮০ হাজার পিস ব্লেড, যা পূর্বে জমা দেওয়া ডকুমেন্টে দেখানো ৯ লাখ ব্লেডেরও বেশি। স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমসের নীরবতার সুযোগে আমদানিকারকরা পুরনো কাগজ গায়েব করে নতুন জাল নথি তৈরি করেন।

বন্দরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব ঘটিয়ে এই জালিয়াতির সুযোগ করে দিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোলের এই ঘটনা কেবল একটি চালান নয়—এটি কাস্টমস প্রশাসনের ভেতরের অনিয়ম ও দায়হীনতার একটি বড় উদাহরণ, যা সরকারের রাজস্ব নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।

বিষয়টি জানতে সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হান ও কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মাদ আবু হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।