ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: কর্মকর্তাদের আর্চারিতে  চ্যাম্পিয়ন  কিবরিয়া গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আমেরিকা জুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ ঝড় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৩০০ বাংলাদেশি পাটপণ্যের পুনর্জাগরণে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড, টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্তের আহ্বান কার্গো ভিলেজে আগুনে ছাই ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য, পুড়েছে স্বপ্নও ১ নভেম্বর থেকে এমপিও শিক্ষকদের নতুন বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব পুরুষ আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন তামিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক যুগের অগ্নিকাণ্ড ঢাকার প্রধান বিমানবন্দরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ-উত্তেজনা,  মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঘটনায় ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকায় শুরু হলো পক্ষকালব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল প্রদর্শনী

উদয়ন চৌধুরী, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই কিংবদন্তি। একজন ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী, অন্যজন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হিমালয়ের মতো দুই ব্যক্তিত্ব। যাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গতি পাচ্ছে আগামী।   ১৯৪৭ সালের আগস্টে ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান কলকতায় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। দুই নেতার সাক্ষাতের দিনটির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মিটিং ওয়ালে

প্রদর্শিত ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ছবি যেখানে বঙ্গবন্ধু-বাপু উভয়েই এক ফ্রেমে রয়েছেন। মহান দুই নেতাকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে এই ডিজিটাল প্রদর্শনীর আয়োজন।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী চলবে।

ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রদর্শনীতে ওঠে এসেছে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (অমৃতসর হত্যাকাণ্ড) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে ইংরেজ সেনানায়ক ব্রিগেডিয়ার

রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড থেকে ১৯৭১। এযেন একই সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীটি ২২টি তথ্যদেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল মুহূর্তের সমন্বয়ে তৈরি। প্রদর্শনী শুরু হয় পরিচিতি প্রাচীর দিয়ে যা প্রদর্শনীর বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে এবং প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের চোখে এই দুই মহান নেতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে।

পরবর্তী দুইটি দেয়াল দুই নেতার জীবনের একটি বিস্তৃত পটভূমি প্রদর্শন করে। একটি হলোগ্রাফিক টাইম মেশিন যা ঐতিহাসিক ছবিগুলিকে একটি সময়রেখার সাথে সাজানো হয়েছে যা দর্শনার্থীদের সময় এবং জীবনকাল বোঝার জন্য একটি অনন্য ইন্টারফেস প্রদান করে।

পরবর্তী অংশটি তাদের তারুণ্যের ঘটনাগুলি বর্ণনা করে যে সময়ে তাদের নৈতিক চরিত্র গঠন হয়েছিল। পরবর্তী দেয়ালটি তাদের জীবনের তিনটি বিখ্যাত আন্দোলনকে প্রদর্শন করেছে। একটি

হল লবণ সত্যাগ্রহ, যেটিকে টাইম ম্যাগাজিন আধুনিক ইতিহাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে বিবেচনা করে এবং অন্যটি ৭ই মার্চের ভাষণ, যেটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড

রেজিস্টারে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা। মানুষের দুর্দশা, যন্ত্রণা এবং অবিচারের দৃশ্য জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং গণহত্যা সুড়ঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের

জন্য ১৯৭১ সালের প্রাচীরে সেই বছরের ঘটনাগুলি পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে। শক্তি ব্যবহারের ন্যায্যতা এবং মুক্তিবাহিনী কর্তৃক প্রাপ্ত সাহায্য মানবতার নৈতিকভিত্তির দু’টি শেষ প্রান্ত। ব্যস্ততার

ত্রিভুজটি দুর্দশা এবং যন্ত্রণা থেকে চোখকে অতি প্রয়োজনীয় স্বস্তি প্রদান করে, যেখানে ৩৬০ ডিগ্রী অবস্থানগুলি অনুভব করা যায়। একটি রোবোটিক স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে এবং দুই নেতার

প্রিয় সঙ্গীতও রাখা হয়েছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এসময়ে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। স্বাগত

বক্তব্য দেন শিল্পকল্প একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সচিব আবুল মনসুর। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৭ মার্চ ঢাকা

সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘরের উদ্বোধন করেছিলেন।

কিন্তু কভিডের কারণে প্রদর্শনীটি সাধরণের জন্য স্থগিত ছিলো। ডিজিটাল মাধ্যমের এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ বাংলাদেশের সাংস্কৃতির পীঠস্থান শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল

প্রদর্শনী সাবার জন্য উন্মুক্ত হলো। পক্ষকালব্যাপী আয়োজিত প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

বঙ্গমাতাকে উদযাপনকারী প্রাচীরটি এমন দু’জন নারীকে দেখায় যাঁরা তাদের সঙ্গীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সঠিক সময়ে তাদের কার্যকর পরামর্শ দিয়েছিলেন। উভয়েই শ্রদ্ধেয় ছিলেন এবং সর্বদা তাঁদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন।

দুই মহান নেতা তাদের দেশ ও জনগণের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পরবর্তী অংশে প্রদর্শিত হয়েছে। প্রদর্শনীটির শেষ অংশে চলমান মহামারী বিষয়ে একটি সামাজিক বার্তা প্রদান করে, দর্শনার্থীদের একটি ইন্টারেক্টিভ দেয়ালে তারা যে তথ্য শিখেছে তা সংযুক্ত

করতে দেয়। বিদায়ী অংশে দর্শনার্থী দুই নেতার সাথে একটি ছবি তুলতে পারেন এবং একটি ভিডিও প্রশংসাপত্র রেখে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু-বাপ ডিজিটাল প্রদর্শনী দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্না গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের অনন্য একটি বিষয়কে উপস্থাপন করছে। দুই দেশের যৌথ

উদ্যোগে মুজিববর্ষ ও মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী এবং ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে প্রদর্শনীটি তৈরী করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর

বাংলাদেশ সফরকালে দুই প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ১১ অক্টোবরের পর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা এবং কলকাতায়ও বঙ্গবন্ধু-বাপু এটি প্রদর্শিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় শুরু হলো পক্ষকালব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল প্রদর্শনী

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

দুই কিংবদন্তি। একজন ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী, অন্যজন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হিমালয়ের মতো দুই ব্যক্তিত্ব। যাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গতি পাচ্ছে আগামী।   ১৯৪৭ সালের আগস্টে ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান কলকতায় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। দুই নেতার সাক্ষাতের দিনটির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মিটিং ওয়ালে

প্রদর্শিত ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ছবি যেখানে বঙ্গবন্ধু-বাপু উভয়েই এক ফ্রেমে রয়েছেন। মহান দুই নেতাকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে এই ডিজিটাল প্রদর্শনীর আয়োজন।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী চলবে।

ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রদর্শনীতে ওঠে এসেছে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (অমৃতসর হত্যাকাণ্ড) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে ইংরেজ সেনানায়ক ব্রিগেডিয়ার

রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড থেকে ১৯৭১। এযেন একই সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীটি ২২টি তথ্যদেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল মুহূর্তের সমন্বয়ে তৈরি। প্রদর্শনী শুরু হয় পরিচিতি প্রাচীর দিয়ে যা প্রদর্শনীর বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে এবং প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের চোখে এই দুই মহান নেতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে।

পরবর্তী দুইটি দেয়াল দুই নেতার জীবনের একটি বিস্তৃত পটভূমি প্রদর্শন করে। একটি হলোগ্রাফিক টাইম মেশিন যা ঐতিহাসিক ছবিগুলিকে একটি সময়রেখার সাথে সাজানো হয়েছে যা দর্শনার্থীদের সময় এবং জীবনকাল বোঝার জন্য একটি অনন্য ইন্টারফেস প্রদান করে।

পরবর্তী অংশটি তাদের তারুণ্যের ঘটনাগুলি বর্ণনা করে যে সময়ে তাদের নৈতিক চরিত্র গঠন হয়েছিল। পরবর্তী দেয়ালটি তাদের জীবনের তিনটি বিখ্যাত আন্দোলনকে প্রদর্শন করেছে। একটি

হল লবণ সত্যাগ্রহ, যেটিকে টাইম ম্যাগাজিন আধুনিক ইতিহাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে বিবেচনা করে এবং অন্যটি ৭ই মার্চের ভাষণ, যেটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড

রেজিস্টারে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা। মানুষের দুর্দশা, যন্ত্রণা এবং অবিচারের দৃশ্য জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং গণহত্যা সুড়ঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের

জন্য ১৯৭১ সালের প্রাচীরে সেই বছরের ঘটনাগুলি পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে। শক্তি ব্যবহারের ন্যায্যতা এবং মুক্তিবাহিনী কর্তৃক প্রাপ্ত সাহায্য মানবতার নৈতিকভিত্তির দু’টি শেষ প্রান্ত। ব্যস্ততার

ত্রিভুজটি দুর্দশা এবং যন্ত্রণা থেকে চোখকে অতি প্রয়োজনীয় স্বস্তি প্রদান করে, যেখানে ৩৬০ ডিগ্রী অবস্থানগুলি অনুভব করা যায়। একটি রোবোটিক স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে এবং দুই নেতার

প্রিয় সঙ্গীতও রাখা হয়েছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এসময়ে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। স্বাগত

বক্তব্য দেন শিল্পকল্প একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সচিব আবুল মনসুর। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৭ মার্চ ঢাকা

সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘরের উদ্বোধন করেছিলেন।

কিন্তু কভিডের কারণে প্রদর্শনীটি সাধরণের জন্য স্থগিত ছিলো। ডিজিটাল মাধ্যমের এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ বাংলাদেশের সাংস্কৃতির পীঠস্থান শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল

প্রদর্শনী সাবার জন্য উন্মুক্ত হলো। পক্ষকালব্যাপী আয়োজিত প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

বঙ্গমাতাকে উদযাপনকারী প্রাচীরটি এমন দু’জন নারীকে দেখায় যাঁরা তাদের সঙ্গীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সঠিক সময়ে তাদের কার্যকর পরামর্শ দিয়েছিলেন। উভয়েই শ্রদ্ধেয় ছিলেন এবং সর্বদা তাঁদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন।

দুই মহান নেতা তাদের দেশ ও জনগণের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পরবর্তী অংশে প্রদর্শিত হয়েছে। প্রদর্শনীটির শেষ অংশে চলমান মহামারী বিষয়ে একটি সামাজিক বার্তা প্রদান করে, দর্শনার্থীদের একটি ইন্টারেক্টিভ দেয়ালে তারা যে তথ্য শিখেছে তা সংযুক্ত

করতে দেয়। বিদায়ী অংশে দর্শনার্থী দুই নেতার সাথে একটি ছবি তুলতে পারেন এবং একটি ভিডিও প্রশংসাপত্র রেখে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু-বাপ ডিজিটাল প্রদর্শনী দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্না গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের অনন্য একটি বিষয়কে উপস্থাপন করছে। দুই দেশের যৌথ

উদ্যোগে মুজিববর্ষ ও মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী এবং ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে প্রদর্শনীটি তৈরী করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর

বাংলাদেশ সফরকালে দুই প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ১১ অক্টোবরের পর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা এবং কলকাতায়ও বঙ্গবন্ধু-বাপু এটি প্রদর্শিত হবে।